Thursday , May 2 2024
Breaking News
Home / Countrywide / সে অপরাধী ছিল না, প্রদীপের পায়ে ধরে চেয়েছি, সে অনেক পাষাণ : হালিমা
OC Pradeep

সে অপরাধী ছিল না, প্রদীপের পায়ে ধরে চেয়েছি, সে অনেক পাষাণ : হালিমা

গত বছর দুই আগে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের পুলিশের (police) গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান (Sinha Mohammad Rashed Khan) নিহতের ঘটনায় দায়ের করা সেই আলোচিত মামলার রায় আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি) ঘোষণা করতে যাচ্ছে আদালত। আর এ মামলার অন্যতম প্রধান আসামি টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ (OC Pradeep)। যার বিরুদ্ধে একের পর এক উঠে আসছে নানা অনিয়মের অভিযোগ।

সেই আলোকে হালিমা (Halima) বলেন, ‘আমার ছেলে রিকশা চালাত। সে অপরাধী ছিল না। তার নামে একটি মামলাও নেই। দালালদের মাধ্যমে টাকা দাবি করেন ওসি প্রদীপ (OC Pradeep)। টাকা না দেওয়ায় আমার ছেলেকে হত্যা করেছে সে। ‘

সিনহা হত্যার রায় ঘোষণার আগে মামলার অন্যতম আসামি ওসি প্রদীপের (OC Pradeep) ফাঁসির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে মানববন্ধন চলছিল। এই মানববন্ধনে একজন নারী একটি ছেলের ছবি ধারণ করছেন।

ওসি প্রদীপের ফাঁসি চেয়ে কান্নাকাটি করছেন হালিমা খাতুন নামের এই নারী। তার বাড়ি টেকনাফের দেলপাড়া এলাকায়।

হালিমা জানান, তার ছেলে আব্দুল আজিজকে ২০১৯ সালে চায়ের দোকান থেকে অপহরণ করে ওসি প্রদীপের লোকজন। ছয় দিন পর মেরিন ড্রাইভে আজিজের লাশ পাওয়া যায়।

ওসি প্রদীপের ফাঁসির দাবি

তিনি বলেন, আমার ছেলে রিকশা চালাত। তিনি অপরাধী ছিলেন না। তার নামে একটি মামলাও নেই। দালালদের মাধ্যমে টাকা দাবি করেন ওসি প্রদীপ। টাকা না দেওয়ায় আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে।

‘মেরিন ড্রাইভ থেকে আমার ছেলের লাশ আনতে গেলে সেটাও দেয়নি। ওসি প্রদীপের পায়ে ধরে চেয়েছি। সে অনেক পাষাণ। আমি তার ফাঁসি চাই।’

বিশেষ করে, সিনহা হত্যা মামলয় ওসি প্রদীপকে গ্রেপ্তারের পরপরই তার বিরুদ্ধে একের পর এক উঠে আসে নানা অবাক করা কাহিনী। সাধারণ মানুষকে শুধু অত্যাচারই করেননি, তাদেরকে নির্মম ভাবে হত্যাও করেছেন ওসি প্রদীপ। এই মুহুর্তে তার সর্বোচ্চ সাজার খবরটি শুনতে অপেক্ষ্বায় রয়েছেন শত শত পরিবার।

About

Check Also

অবন্তিকার পর এবার একই পথে হাঁটল মীম

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আ/ত্মহত্যা করেছে। শিক্ষার্থীর নাম শারভীন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *