Monday , May 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / মেয়ের বাড়িতে ইফতার দেওয়া প্রশ্নে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

মেয়ের বাড়িতে ইফতার দেওয়া প্রশ্নে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

পবিত্র রমজান মাসে মেয়ের বাড়িতে ইফতার দেওয়ার প্রথা বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সৈয়দুল হক সুমন। আমেরিকা থেকে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন, মেয়ের বাড়িতে ইফতার দেওয়ার সামর্থ্য অনেকের নেই। অনেকেই সুদে টাকা ধার নিয়ে মেয়ের বাড়িতে ইফতার দেন। সামাজিক মর্যাদা ধরে রাখতে হিমশিম খেয়ে মেয়ের বাড়িতে ইফতার দেন অনেকেই। এটা একটা লজ্জাজনক ব্যপার। দেখবেন যে দেয় সে লজ্জায় কিছু বলতে না পারলেও কষ্ট পায়। তাই এই কুসংস্কার এড়াতে তিনি সবাইকে আহ্বান জানান।

তিনি চুনারুঘাট মাধবপুরের বাসিন্দাদের মেয়ের বাড়িতে ইফতার না দেওয়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ করেন এবং বিবাহিত পুরুষদের শ্বশুরবাড়ি থেকে ইফতার না আনতে বলেন।

ফেসবুক লাইভে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বিয়ের পরও শ্বশুরবাড়ি থেকে দুবার ইফতার করতে এসেছি; কিন্তু যখন দেখলাম বাবার কাছ থেকে ইফতার না পেয়ে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে, তখন থেকে আমি ইফতার বন্ধ করে দেই। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার এবং অন্যকে সচেতন করার আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে ২০২৩ সালের রমজান মাসে উপজেলার নরপাটি গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারের এক গৃহবধূ সুদ পরিশোধের চুক্তিতে রমজানের প্রথম দিনে মেয়ের বাড়িতে ইফতার করার জন্য এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১০০০ টাকা ঋণ নেন। প্রতি মাসে ১৫০ টাকা। এই টাকা দিয়ে তিনি তার মেয়ের বাড়িতে ইফতারি পাঠাতেন। এ খবর পেয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সৈয়দুল হক সুমন নরপাটি গ্রামে নিজ বাড়িতে যান।

তিনি লাইভে এসে ওই গৃহবধূর বিষয়ে বলেন, তার নিজ এলাকার এক দরিদ্র পরিবারের মেয়ের বাড়িতে ইফতার দেওয়ার জন্য দেড়শ টাকা সুদে এক হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। এ সময় ওই গৃহবধূ বলেন, তার একটি দরিদ্র পরিবার, সে কাজ করে খায়, তার সন্তানদের লেখাপড়া করাতে হয়, তার কাছে টাকা নেই, ইফতার দেওয়া তার পক্ষে কঠিন। ইফতারি না দিলে মেয়ের বাড়ি ও আশেপাশের লোকজন লজ্জিত হবে। সমাজ রক্ষায় সুদ দিয়ে মেয়ের বাড়িতে ইফতারি দিতে বাধ্য হন। তিনি লাইভে আরও জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও তিনি ইফতার করেন।

সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাউছার বাহার বলেন, আমি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় নিজ চোখে দেখেছি এবং কয়েকবার সালিশ করেছি, বাবার বাড়িতে মেয়ের বাড়িতে ইফতার করতে না গেলে মেয়ে হয় আ/ত্মহত্যা করে না হয় তালাক হয়ে যায়। আমাদের সমাজকে এ ধরনের কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এছাড়া একই এলাকার একটি পরিবার ৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি ছাগল দুই হাজার টাকায় বিক্রি করে মেয়ের বাড়িতে ইফতার করেছে।

About Babu

Check Also

অবন্তিকার পর এবার একই পথে হাঁটল মীম

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আ/ত্মহত্যা করেছে। শিক্ষার্থীর নাম শারভীন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *