Monday , May 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা

সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা

এজেন্টদের সমস্যার সমাধান না হলে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়েছে সোনালী এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাসোসিয়েশন (সাবা)। এজেন্টদের সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে সার্কুলারে যে সুবিধা দেওয়া হয়েছিল, গত দুই বছর ধরে সোনালী ব্যাংক সেসব সুবিধা দেয়নি।

একই সঙ্গে ব্যাংকের সার্ভার ঠিকমতো কাজ না করায় সেবা দিতে সমস্যায় পড়ছেন এজেন্টরা। এ কারণে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর প্রেসক্লাবে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেন সাবার সভাপতি যতীন্দ্রনাথ বিশ্বাস।

তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংক আমাদের নিয়োগ দেয়ার সময় যেসব সরঞ্জামাদি দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিল তার কিছুই দেয়নি। এমনকি সবসময় ব্যাংকের সার্ভার ডাউন থাকে। সার্ভার ঠিকমতো কাজ না করায় সেবা প্রদানে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এতে গ্রাহক আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এমডিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে বারবার দেখা করে কথা বললেও তারা এর সমাধান করেনি। তারা প্রতিবারই আশ্বাস দিয়ে আমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। এজন্য বাধ্য হয়ে আমরা এখন আন্দোলনে নেমেছি।

এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব বাবু বলেন, তিন থেকে চার মাসের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তারা পুলিশ ভেরিফিকেশনসহ সব ধরনের কার্যক্রমই পরিচালনা করেছে। এরপর আমাদের ১ হাজার ২০০ এজেন্ট থেকে ৪৭৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, কোনো নোটিশ ছাড়াই সেখান থেকে মাত্র ২২৭ জনকে রেখে বাকিদের বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আমাদেরকে প্রধান কার্যালয়ে ডেকে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। ইংরেজিতে লেখা ওই চুক্তিপত্র আমাদেরকে পড়ে দেখতে দেওয়া হয়নি। জোর করে আমাদের ওই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করায় সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পরে আমরা জানতে পারি, সার্কুলারে যে কমিশনসহ সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ ছিল, চুক্তিপত্রে কৌশলে সেগুলো কমিয়ে দেয়া হয়েছে। তবুও আমরা কাজ শুরু করেছি।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়ামতুল্লাহ বলেন, প্রতিটি এজেন্ট ইতোমধ্যে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা লোকসানের মুখে পড়েছেন। যতই দিন যাচ্ছে ক্ষতির মাত্রাও ততই বাড়ছে। সার্ভার সমস্যার কারণে জনগণকে সেবা দিতে গিয়ে আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি।

এ সময় সংগঠনের উপদেষ্টা নেয়ামুল আহসান পামেলা বলেন, সোনালী ব্যাংকের এজেন্টরা সার্ভার সমস্যার কারণে জনগণকে সেবা দিতে পারছেন না। সোনালী ব্যাংক জালিয়াতি ও প্রতারণা করে আমাদের স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়েছে। প্রতিমাসে আমাদের অন্তত ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। কিভাবে আমরা এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারি? তাই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অন্যথায় আমরা দুদকের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব।

About Nasimul Islam

Check Also

অবন্তিকার পর এবার একই পথে হাঁটল মীম

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আ/ত্মহত্যা করেছে। শিক্ষার্থীর নাম শারভীন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *