Monday , May 20 2024
Breaking News
Home / International / তিন উপায়ে পাকিস্তানে সরকার হতে পারে

তিন উপায়ে পাকিস্তানে সরকার হতে পারে

পাকিস্তানের সাধারণ বিধানসভা নির্বাচনে কোনো একক দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এখন জোট সরকার গঠনের কোনো বিকল্প নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জোট সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা চলছে। যিনি পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন তাকে আগামী দিনে জাতীয় পরিষদে 169 সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে হবে।

পাকিস্তানে ৩৩৬টি নির্বাচনী এলাকা রয়েছে। এর মধ্যে ২৬৬টি আসনে সরাসরি নির্বাচন হয়। এই বছরের নির্বাচনের আগে, দুর্বৃত্তদের গুলিতে একজন প্রার্থী নিহত হওয়ার পরে একটি আসনে ভোটগ্রহণ ইতিমধ্যেই স্থগিত করা হয়েছিল। অপর একটি আসনে ভোটের ফল স্থগিত করা হয়েছে। বাকি 70টি আসন সংরক্ষিত। এর মধ্যে 60টি নারী এবং 10টি সংখ্যালঘুদের জন্য।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী দিনে পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তিনটি দৃশ্য দেখা যেতে পারে।

ক্ষমতা গ্রহণকারী ব্যক্তিরা

এই নির্বাচনে ইমরান খান ও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থকরা সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছে। কিন্তু আইনি বাধার কারণে দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি পিটিআই। কৌশল হিসেবে দলটির নেতারা আলাদা লড়াইয়ে নেমেছেন। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, স্বতন্ত্ররা 101টি আসন জিতেছে।

এখন সংসদে একটি ছোট দলে যোগ দিলে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য শক্ত পদক্ষেপ নিতে পারে। সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ পেতে পারেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী পদেও প্রার্থী দিতে পারেন। এ ছাড়া জোট গঠনের জন্য স্বতন্ত্র দলগুলো অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও আলোচনা করতে পারে। এর ফলে পাকিস্তানের ক্ষমতার কেন্দ্রে ইমরান সমর্থিত বাহিনী আবারও দেখা দেবে। এই পরিস্থিতি ইমরানের মুক্তির পথ খুলে দেবে। তবে আইনি বাধার কারণে ইমরান নিজে সরকারপ্রধান হওয়ার লড়াইয়ে অংশ নিতে পারছেন না।

পিএমএল-এন জোট সরকার

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের ফলাফল অনুযায়ী, নওয়াজ শরিফের দল এবারের নির্বাচনে ৭৫টি আসন পেয়েছে। অন্যদিকে বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪টি আসনে জয়ী হয়েছে।

এখন রাজনৈতিক অচলাবস্থা ভাঙতে জোট গঠন করে ক্ষমতায় আসতে চায় পিএমএল-এন ও পিপিপি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে দুই দলের মধ্যে সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), জেইউআই-এফ এবং আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল জোট সরকারে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত সরকার গঠন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি, এমকিউএম-পি ড. নতুন জোট সরকারে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখা যেতে পারে নওয়াজ শরিফ বা তার ভাই শাহবাজ শরিফকে। এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ শরিকদের দেওয়া হতে পারে।

বিলাওয়াল মুখ্যমন্ত্রী

আরেকটি বিকল্প হল বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে প্রধানমন্ত্রী করা। ভোটের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পিপিপি। কিন্তু পিপিপি জোট গঠনে বিলাওয়ালকে সরকার প্রধান করার কৌশল বেছে নিয়েছে। দলটি পিএমএল-এনের সাথে এ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

About Zahid Hasan

Check Also

এ বছরের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা: নৌকাডুবিতে ‘‘নিহত অথবা নিখোঁজ’’ ৭০

ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলে নৌকা ডুবির এক ঘটনায় ৭০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা ‌‌‘‘নিহত অথবা নিখোঁজ’’ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *