বিকেএসপিতে ডিপিএল ম্যাচ খেলার সময় তামিম ইকবাল অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে সাভারের কেপিজে হাসপাতালে দুবার নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হার্ট অ্যাটাক ধরা পড়লে তাকে হার্ট রিং সহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়।
হাসপাতালের ডাক্তার এবং বিসিবি জানিয়েছে যে তামিমের রিং পরানো সফল হয়েছে। একটি শতভাগ ব্লকেজ ধরা পড়লেও রিং পরানোর মাধ্যমে তা পুরোপুরি ঠিক হয়ে গেছে। তামিমের জ্ঞান ফিরেছে এবং পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছেন।
যদিও তামিমের হার্টে রিং পরানোর ক্ষেত্রেও কাগুজে কিছু আনুষ্ঠানিকতা সারতে হয়েছে। যেমন- হার্টে রিং পরানো একটি অপারেশন। এ ধরনের চিকিৎসার আগে পরিবারের পক্ষ থেকে সম্মতি বা বন্ড নেওয়া হয়। যাতে সজ্ঞানে অপারেশনে সম্মতি জ্ঞাপনের বিষয়টি উল্লেখ থাকে।
কিন্তু যেহেতু তামিম বিকেএসপিতে খেলতে গিয়েছিল, তাই তার পরিবারের কেউ, যেমন তার স্ত্রী বা বড় ভাই নাফিজ ইকবাল বা রক্তের আত্মীয়, সেখানে ছিল না। পরে তারা সাভারের সেই হাসপাতালে যান। কিন্তু পরিবার যদি দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করত, তাহলে তামিমের জরুরি চিকিৎসা সেবা বিলম্বিত হত।
তামিমের অপারেশনের বন্ডে তাই স্বাক্ষর করার দায়িত্ব নেন ডিপিএলের ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল। পরিবারের পক্ষে প্রাক্তন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটার, ক্রীড়া সাংবাদিক এবং ক্রীড়া সংগঠক দেবব্রত পাল অস্ত্রোপচারের জন্য সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করেন। চিকিৎসকরাও সম্মতিপত্র গ্রহণ করেন।
জানা গেছে, চিকিৎসকদের দ্রুত সিদ্ধান্তের কারণে তামিম একটি বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন।