বর্তমান সময়ে বিশ্ব জুড়ে অনলাইন মাধ্যম গুলোর ব্যবহার ব্যপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশও এই অনলাইন মাধ্যম ব্যবহারে বেশ এগিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেনীর বিভিন্ন পেশার অসংখ্য মানুষ এই মাধ্যমের সাথে যুক্ত। বিনোদন জগতের ব্যক্তিরাও রয়েছে এই তালিকায়। এই মাধ্যম ব্যবহারে সম্প্রতি দেশের অনেক নামি-দামি তারকাদের পিছনে ফেলে পেজ ফলোয়ার বা অনুসারীর সংখ্যায় রেকর্ড গড়লেন হানিফ সংকেত। এই বিষয়ে বিস্তারিত উঠে এলো প্রকাশ্যে।
বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও উপস্থাপক এ কে এম হানিফ। যিনি হানিফ সংকেত নামেই অধিক পরিচিত। ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’-এর নান্দনিক উপস্থাপনা তাকে এনে দিয়েছে দারুণ দর্শকপ্রিয়তা। প্রযুক্তির এই যুগে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হানিফ সংকেত। ফেসবুকে তার নামে একটি পেজ রয়েছে। তাতে নিয়মিত কাজের আপডেট তথ্য ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করে থাকেন। বেশ আগে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ব্লু টিক দিয়েছে। এবার তার এই পেজে ফলোয়ার বা অনুসারীর সংখ্যা হলো ১০ মিলিয়ন অর্থাৎ ১ কোটি। এই মাইলফলক অর্জনের পর হানিফ সংকেত তার অনুসারীদের উদ্দেশ্য কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় কোটি হৃদয়েরও বেশি মানুষ দেশ বা বিদেশ, যে যেখান থেকে প্রাণ স্পর্শে-আনন্দ হর্ষে-সৎ আদর্শে-চিন্তার উৎকর্ষে-ভালোবেসে আমাদের এই ফেসবুক পেজে সহযাত্রী হয়েছেন, সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক অভিনন্দন। আপনাদের ভালোবাসায় আমরা ধন্য। শুভ কামনা সবার জন্য।’
জানা যায়, দেশের শোবিজ অঙ্গনে হানিফ সংকেতই প্রথম ব্যক্তিত্ব যার অনুসারী সংখ্যা ১ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করলো। তার কাছাকাছি রয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী-অভিনেতা তাহসান খান। তার অনুসারী সংখ্যা ৯৬ লাখের বেশি। তাহসানের পরের স্থানে রয়েছেন চিত্রনায়কা পরীমনি। এ অভিনেত্রীর অফিশিয়াল পেজে অনুসারীর সংখ্যা ৯৫ লাখের অধিক। বিটিভির জনপ্রিয় ‘যদি কিছু মনে না করেন’ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দর্শকের নজর কাড়েন হানিফ সংকেত। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত প্রচার হয়েছে এটি। হানিফ সংকেত ১৯৮৯ সালে বিটিভিতে নিয়ে আসেন ‘ইত্যাদি’। যা এখনো ধারাবাহিকভাবে প্রচার হচ্ছে। প্রতি মাসেই অনুষ্ঠানটির নতুন পর্ব প্রচার হয়ে থাকে। যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও দীর্ঘস্থায়ী ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনের সুপরিচিত এবনং ব্যপক জনপ্রিয় চেনা মুখ হানিফ সংকেত। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বিনোদন অঙ্গনের সাথে যুক্ত। এবং তার উপস্থাপনায় দেশের প্রথম সারির বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের শীর্ষে রয়েছে “ইত্যাদি”। তিনি এই অনুষ্ঠানের পাশাপাশি লেখক এবং নাট্যনির্মাতা হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।