বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্ব পালন করছে আওয়ামীলীগ দল। এই দলটির বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতি ও চুরির অভিযোগ রয়েছে। তবে এই সকল অভিযোগের মধ্যে দিয়েই দেশের সরকার গঠন করেছে দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনকে ঘিরে একদফা শর্ত দিয়েছে বিএনপি দল।
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে রয়েছে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তবে ঐক্যফ্রন্ট জোট করে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে একদফা শর্ত দিয়েছে দলটি। নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাধায়ক সরকার ছাড়া বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনেই অংশ নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা দেখেছি এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হতে পারেনি। কারণ এটা একটা জবরদস্তিমূলক দখলদার সরকার। সব নির্বাচনকে তারা তাদের মতো করে পরিচালনা করেছে। নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে একটা বশংবদ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে নিজের মতো করে নির্বাচন করেছে। এটাকে নির্বাচন বলা যায় না। দেশে-বিদেশে এই নির্বাচনকে প্র/তা/র/ণা/র নির্বাচন বলা হয়েছে। জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব এখানে নেই। বর্তমান সরকারকে ফ্যা/সি/বা/দী উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, একটি ফ্যা/সি/বা/দী সরকারের অধীনে এই দেশ পরিচালিত হচ্ছে। এদেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র অবশিষ্ট নেই। বিরোধী দল তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোনো ডেমোক্রেটিক স্পেস পাচ্ছে না। যার ফলে শুধু বিএনপিই নয়, সব রাজনৈতিক দলই একটা দুর্বিসহ সংকটের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আপাতত আমরা দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না।
কিছু দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের আগামী দ্বাদশ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহনের কথা জানিয়েছে। এরই লক্ষ্যে দেশের সকল রাজনৈতিক দল গুলো আগামী নির্বাচনকে ঘিরে সরব হয়েছে। এমনকি ইতিমধ্যে বিএনপি দল আগামী নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষতরা লক্ষ্যে বেশ কিছু দাবিও তুলেছে।