Thursday , September 19 2024
Breaking News
Home / International / কর্মী সংকটে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া, জানাগেল বিস্তারিত

কর্মী সংকটে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া, জানাগেল বিস্তারিত

সমগ্র পৃথিবীতে দীর্ঘ সময় ধরে বিরাজ করছে ভাইরাস ভীতি। এই ভাইরাসের প্রকপে থমকে গেছে বিশ্বের সকল কার্যক্রম। এবং বিশ্ব জুড়ে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের সংকট। এমনকি বিশ্বের অনেক দেশই বর্তমান সময়ে কর্মী সংকটে ভুগছে। কিছু দিন আগে যুক্তরাজ্যের কর্মী সংকট নিয়ে নানা ধরনের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এবার এই তালিকা সামিল হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

কোভিডের কঠোর নিয়ম পেরিয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করতে গিয়ে নতুন সংকটে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন ব্যবসা খাত। গত এক বছরে অভিবাসীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে কমে যাওয়ায় কর্মী পাচ্ছে না তারা। গ্রীষ্মের পার্টির জন্য প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া। খুলছে রেস্টুরেন্ট, স্টেডিয়ামসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো। কিন্তু সেগুলো পুরোদস্তুর চালু করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপকরা। দেখা দিয়েছে প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাব। করোনার সময় বিপুল মৌসুমি কর্মী আর বিদেশি শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়া ছেড়েছেন। সীমান্তে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের কারণে নতুন শিক্ষার্থী বা কর্মীরা এই সময়ের মধ্যে আসতে পারেননি। যারা গিয়েছেন তাদের অনেকেও ফিরে আসেননি। যে কারণে মৌসুমি কর্মী সংকটে পড়েছে বিভিন্ন ব্যবসা খাত। প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি চালু হলেও প্রয়োজনীয় কর্মী ছাড়াই তাই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে অনেককে। আতিথেয়তানির্ভর খাতের জন্য কর্মী ভাড়া করে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক রোনডা এভারিংহাম। পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘লকডাউনের আগে একটি চাকরির বিজ্ঞপ্তি দিলে কয়েকশো আবেদন জমা পড়ত। এখন যদি পাঁচটি পাওয়া যায় তাহলেই আপনি সৌভাগ্যবান। এর মধ্যে তিনটি পাবেন উপযুক্ত৷ যেই সময় আপনি তাদের ডাকবেন ততক্ষণে দেখা যাবে তারা অন্য কোন চাকরি পেয়ে গেছেন।’’

সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির দুইটি বড় শহর ও মেলবোর্নের সেবা নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। গত ১১ অক্টোবর সিডনি ও গত সপ্তাহে মেলবোর্নে কোভিডের নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। কর্মী সংকটের মাঠের এই চিত্র ধরা পড়েছে দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানেও। ‘নন-রেসিডেন্ট’ কাজের ভিসায় আগতদের সংখ্যা ২০২০ সালের শুরুর তুলনায় চলতি বছরের জুন প্রান্তিকে দুই তৃতীয়াংশ কম ছিল। সেই সঙ্গে দেশটিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা করোনার আগের সময়ের চেয়ে তিন লাখ কমে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার ২২ লাখ অনিয়মিত কর্মীর এক চতূর্থাংশই বাস করেন সিডনিতে। চার মাসের লকডাউন শেষে শহরটিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর অনুমতি মিলেছে। ২৫ অক্টোবর সাড়ে ২২ হাজার দর্শক নিয়ে ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রথম বড় আয়োজনটি হতে যাচ্ছে। এজন্য ৭৩০জন রাঁধুনি, পরিচ্ছন্নতা বা নিরাপত্তাকর্মী প্রয়োজন। একই সময় অন্যকোনো বড় আয়োজন না থাকায় এই লোকবল যোগাড় করতে পেরেছেন তারা। কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি জানান, আতিথেয়তা ব্যবসায় প্রত্যেকেই এখন কর্মী চ্যালেঞ্জে রয়েছেন। এমন অবস্থায় নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য সরকার এবার বড় সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। সেইসঙ্গে কর্মী চাহিদা মেটাতে এক বছরে চার লাখ অভিবাসীকে নিতে চান তারা, যা কোভিড পূর্ববর্তী সময়ের চেয়েও দ্বিগুণ। কিন্তু সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশটির নাগরিক, বাসিন্দা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাই শুধু অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন।

বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোতে প্রতিবছর দরিদ্র দেশ থেকে অসংখ্য মানুষ পাড়ি জমিয়ে থাকে। তবে চলমান পরিস্তিতে বিদেশে পাড়ি জমানে ব্যক্টিদের সংখ্যা অনেকটা কমে গেছে। এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভাইরাসে সৃষ্ট চলমান সংকট মোকাবিলায় কর্মী প্রবেশেও কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এতে উন্নত অধিকাংশ দেশ কর্মী সংকটে ভুগছে।

About

Check Also

আর বিদেশ যাওয়া হলো না, মাঝ আকাশেই না ফেরার দেশে এক বাংলাদেশি

বিদেশ যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা থেকে হংকং যাওয়ার পথে তিনি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *