বিএনপি বিরোধিতার জন্য আওয়ামি অস্ত্র ব্যবহার করলে আমরা দু-তিন জনই ধ্বস নামিয়ে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট

অনলাইন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন দাবি করেছেন যে ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের ভিপি পদের প্রার্থী সাদিক কায়েম একজন পাকিস্তানি প্রার্থী এবং তিনিও একজন পাকিস্তানপন্থী শক্তি। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি এমন দাবি করেছেন।

সাদিক কায়েমকে পাকিস্তানি প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করে ইলিয়াস পোস্টে লিখেছেন:

ডাকসু ভিপি পদে পাকিস্তানি প্রার্থী সাদিক কাইয়ুমকে ভোট দিন!

আমি কদিন আগে একটা পোস্ট করেছিলাম সেখানে বলেছিলাম, ” সাদিক এবং আবিদ দুজনই আমার পছন্দের”৷ কিন্তু গেল কদিন ধরে ছাত্রদলের বিভিন্ন নেতা যেভাবে শিবিরের প্রার্থীকে পাকিস্তানি রাজাকার বানানোর চেষ্টা করছে তা পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগের বয়ান প্রতিষ্ঠার চেষ্টা৷
১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তান দুই ভাগে বিভক্ত হয় যার পুরো ফল ভোগ করেছে আওয়ামিলীগ এবং ভারত৷ কথিত স্বাধীনতার পর পাকিস্তানি ট্যাগ দিয়ে ভারত প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে বারবার আওয়ামিলীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে৷ বিনিময়ে ভারত বাংলাদেশকে লুটেপুটে খেয়েছে৷ বাংলাদেশের কোন মানুষ চায় না এদেশ আবার পাকিস্তানের সাথে এক হোক, সবাই বাংলাদেশী৷ এখন আর এদেশে পাকিস্তানি ট্যাবলেট বিক্রি করা যাবে না৷ পাকিস্তানি ট্যাগ মুলত ভারতীয় সফট্ আর্মস৷ এই আর্মস যারাই ব্যবহার করবে তাদেরকেই আমরা ভারতীয় দালাল মনে করবো৷ সেই ক্ষেত্রে আমাদেরও পাকিস্তানি হতে কোন সমস্যা নেই৷
৭১ এ আমার জন্ম হলেও আমি পাকিস্তানের পক্ষে থাকতাম এখনও ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হলে আমি পাকিস্তানের পক্ষেই থাকবো৷
ছাত্রদল প্রমান করেছে তাদের ভিপি প্রার্থী ভারতপন্থী৷ অতএব আমি পাকিস্তানি প্রার্থীর পক্ষে৷
#পাকিস্তানি প্রার্থী #সাদিক_কাইয়ুমকে ভোট দিন
#ভারতীয় প্রার্থী #আবিদকে হারিয়ে দিন৷
(বি:দ্র: আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যদি এই ভারত পাকিস্তান ভাগে দেশকে বিভক্ত করতে চায় আমি কিন্তু পাকিস্তানের পক্ষেই থাকবো, ইনশাআল্লাহ্৷ অতএব সাবধান বিরোধিতার অনেক জিনিস আছে কিন্তু আওয়ামি অস্ত্র ব্যবহার করলে আমরা দু-তিন জনই ধ্বস নামিয়ে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট৷ দু’চার হাজার খলীল বিরিয়ানি আলম দিয়ে একজন ইলিয়াছ হোসাইন, পিনাকী কিংবা কনক সরওয়ারকে কাউন্টার দেয়া যাবে না৷
আজকের পোস্টের ফলাফল ৯ তারিখে পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ্৷

Scroll to Top