‘উদ্দেশ্য সফল হয়নি, ফাঁদে পা দেয়নি বিএনপি’

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেন, বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে সবচেয়ে উচ্চকণ্ঠ বক্তা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক হিসেবে বিএনপির ভাবমূর্তি তুলে ধরার ক্ষেত্রে যে দুজন ব্যক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান তাদের একজন। তিনি নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে আপোষহীন। মুক্তিযুদ্ধের ইস্যুতে তিনি কারও সাথে কোনও ছাড় দেন না।

কারণ দর্শানোর প্রেক্ষাপটে, তিনি তার ফেসবুক পেজে একটি ভিডিওতে ফজলুর রহমানের প্রতিক্রিয়া এবং বিএনপির নির্দেশনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এই মন্তব্য করেছেন।

মাসুদ কামাল বলেন, ফজলুর রহমানের বক্তব্য হলো— এই আন্দোলনের পটভূমি তৈরি করেছিল বিএনপি। গত ১৫ বছর ধরে এ দেশের মানুষের মধ্যে স্বৈরাচারবিরোধী মনোভাবকে ধীরে ধীরে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে বীজ বপণ করেছিল বিএনপি। শেষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনটা চূড়ান্ত রূপ ধারণ করেছে।

তিনি বলেন,এ সময় যদি সারজিস আলম বলেন, আন্দোলনের ভ্যানগার্ড ছিল ছাত্রশিবির ও জামায়াত। এমন বক্তব্যে স্বভাবতই একজন মুক্তিযোদ্ধ হিসেবে যে প্রতিক্রিয়া হওয়ার কথা ফজলুর রহমানের সেটাই হয়েছে।

মাসুদ কামাল বলেন যে ফজলুর রহমান যে জবাব দিয়েছেন তা আক্রমণাত্মক জবাব ছিল না। তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করেই করেছেন।।

পাশাপাশি দলের ওপর ওনার যে আনুগত্য, সেটাও উনি প্রকাশ করেছেন। এই প্রেক্ষিতে বিএনপি যে কাজটা করেছে, সেটাও প্রশংসার। কেননা লঘু পাপে গুরু কোনো শাস্তি দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন যে বিএনপি ফজলুর রহমানকে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে দেওয়া হয়েছে। বিএনপি সিদ্ধান্তে কোথাও বলেনি যে তার নেতারা তার কোনও কথার প্রতি আপত্তি জানিয়েছেন। সামগ্রিকভাবে, তারা সিদ্ধান্ত দিয়েছে। উভয় পক্ষের বক্তব্যই সঠিক।

এই সিনিয়র সাংবাদিক বলেন যে ফফজলুর রহমানের বাসার সামনে গিয়ে মব ও বাড়াবাড়ি করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। দল থেকে বের করে দিতে হবে, গ্রেপ্তার করতে হবে, জেলে নিতে হবে। এই একটাই কারণ ছিল। কেননা মুক্তিযোদ্ধের পক্ষে যারা কথা বলেন, তাদের বলে দেওয়া এ ধরনের কথা বললে তোমার পরিণতি হবে গ্রেপ্তার। কিন্তু সেই উদ্দেশ্যটা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। বিএনপি সেই ফাঁদে পা দেয়নি।

Scroll to Top