গণঅধিকার পরিষদের প্রাক্তন নেতা রেজা কিবরিয়া বলেন, সংস্কার এই সরকারের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। কারণ সরকার তার নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছে এবং তাদের দলকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে দেশে আরেকটি বিপ্লব ঘটতে পারে। এর ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আস্থা পাচ্ছেন না।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জনতা পার্টি বাংলাদেশের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, এই সরকার জুলাই-আগস্টের শহীদদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এ ব্যাপারে আমার কোনও সন্দেহ নেই। আমরা আশা করেছিলাম যে আমরা এই দেশের ব্যবস্থাপনায় একটি গুণগত পরিবর্তন বা উন্নতি দেখতে পাব। তা হয়নি।
তিনি বলেন, আমরা এখন বিপ্লবের পথ হারিয়ে ফেলেছি, আমরা কী চেয়েছিলাম আর কী হয়েছে, আমরা হাসিনা সরকারের চেয়ে শতকরা ৫ ভাগ উন্নতি চেয়েছি, সেটা আমরা পাব ভেবেছিলাম, আমরা সেটা পাইনি। আমি কখনো ভাবিনি শেখ হাসিনার পরে এত নিম্নমানের একটা সরকার আসবে।
অনুষ্ঠানে জনতা পার্টির মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে একভাবে কথা বলেন, বিদেশে অন্যভাবে। এনসিপি বিশ্বাস করে যে প্রধান উপদেষ্টা বিএনপির দিকে ঝুঁকে আছেন কারণ তিনি নিরাপদ প্রস্থান খুঁজছেন।
তিনি বলেন,সংস্কার অনেক সময় চাপিয়েও দিতে হয়। সেই চাপানোর সক্ষমতা এই সরকারের নেই। এ সরকারকে আমরা সমর্থন করি; কিন্তু এই সরকারের অপদার্থতা, অদক্ষতা, ব্যর্থতাকে আমরা কোনোভাবে মেনে নিতে পারি না।
জনতা পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি মহসিন রশিদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান একেএম আশরাফুল হক এবং জাতীয় সংস্কার জোটের আহ্বায়ক মেজর আমিন আহমেদ আফসারী বক্তব্য রাখেন।



