দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক দায়ের করা একটি মামলায় বাংলাদেশের একটি আদালতে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকীর বিচার শুরু হয়েছে। এই মামলায় তার বিরুদ্ধে পূর্বাচলে মা, ভাই, বোনকে অনিয়মের মাধ্যমে প্লট পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
টিউলিপ তার বিরুদ্ধে শুরু হওয়া বিচার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন। সেখানে, পতনশীল স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ভাগ্নী দাবি করেছেন যে তিনি ‘নির্দোষ’ এবং বিচারটি একটি ‘প্রহসন’।
টিউলিপ লিখেছেন, ‘ঢাকায় এখন যে তথাকথিত বিচার চলছে তা একটি প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি বানানো অভিযোগের উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দ্বারা পরিচালিত। গত এক বছরে, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো বারবার পরিবর্তিত হয়েছে, তবুও বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ একবারও আমার সাথে যোগাযোগ করেনি। আমি কখনও কোনো আদালতের সমন পাইনি, বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া পাইনি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘যদি এটি একটি প্রকৃত আইনি প্রক্রিয়া হতো, তাহলে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমার বা আমার আইনি দলের সাথে যোগাযোগ করত, আমাদের আনুষ্ঠানিক চিঠিপত্রের জবাব দিত, এবং তাদের কাছে থাকা প্রমাণ পেশ করত। এর পরিবর্তে, তারা মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক অভিযোগ ছড়িয়েছে, যা সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে কিন্তু তদন্তকারীরা কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে আমার কাছে উপস্থাপন করেনি।’
৪২ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিক প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রফেসর ইউনূস এতে সাড়া দেননি। এ বিষয়টি আজ আবারও উল্লেখ করেছেন তিনি।
টিউলিপ লিখেছেন, ‘লন্ডনে ড. ইউনূসের সাম্প্রতিক সফরের সময় তার সাথে দেখা করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম আমি। কিন্তু এটি প্রত্যাখ্যান করা হয়। আমি শুরু থেকেই স্পষ্ট যে আমি কোনো ভুল করিনি এবং আমার কাছে উপস্থাপন করা যেকোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের জবাব দেব।’
এদিকে, দুদকের তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে যে পূর্বাচল নিউ সিটি প্রকল্পে শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং তাদের সন্তানদের নামে মোট ছয়টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি শেখ হাসিনার নিজের নামে, আরেকটি তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে এবং আরেকটি তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে।
অন্যদিকে, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নামে এবং আরেকটি তার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তির নামে।
টিউলিপের নামে কোনও প্লট না থাকা সত্ত্বেও তার মা, বোন এবং ভাইয়ের জন্য প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে টিউলিপের বিরুদ্ধে।



