মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস থাকলে ভবিষ্যতে দেশে মানবাধিকার রক্ষা আরও জোরদার হবে। এ কারণেই সরকার এতে সম্মতি দিয়েছে। রোববার (২৭ জুলাই) সকালে সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, “তারা এখানে কার্যালয় খুলতে চাইছে, এর মানে এই নয় যে এখন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি খারাপ। বরং এই কার্যালয় থাকলে ভবিষ্যতে যেই সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা যেন মানবাধিকার রক্ষায় সচেতন থাকে। যেহেতু জাতিসংঘ এ বিষয়ে সক্রিয়, তাই আমরা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই। এই কারণেই সরকার এতে সম্মতি দিয়েছে।”
পূর্ববর্তী সরকারের সময়ের মানবাধিকার পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, “সেই সময় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। তখন মানবাধিকার সংগঠনগুলো আমাদের পক্ষ নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিবেদন তৈরি করেছিল। এর ফলে সেই ফ্যাসিবাদী সরকার আন্তর্জাতিক মহলে চিহ্নিত হয়ে পড়ে।”
বর্তমান সরকারের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সবকিছু আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চায়, কঠোর দমননীতিতে বিশ্বাসী নয়। অনেক সময় পরিস্থিতি সীমা অতিক্রম করলেও আমরা সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে থাকি। সমাজে কেন মব সৃষ্টির ঘটনা ঘটে, তা খুঁজে বের করতে হবে। সরকার কোনো অতিরিক্ত দমনমূলক ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী নয়।”
ইলিশের সরবরাহ কম থাকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ফরিদা আখতার বলেন, এ বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় ইলিশের আহরণ কম হয়েছে। তবে জনগণের চাহিদা মেটাতে ও বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। এ সময় তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সরকারের আন্তরিকতার কথাও জানান।
এর আগে ফরিদা আখতার গণবিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচএ ভবনে আয়োজিত ‘জুলাই স্মৃতিচারণ ও আলোচনা’ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসাইন, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।



