অনেক বছর পর জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে হাজির হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের কিছু অংশ তিনি গ্যালারিতে বসে উপভোগ করেন।
ম্যাচ চলাকালীন এক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে দেশের ক্রিকেট ও তার ক্রিকেটপ্রেম নিয়ে কথা বলেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক।
সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে সাংবাদিক সাকিব আল হাসানের প্রসঙ্গ তোলেন। প্রশ্ন করেন, বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে কি সাকিবের জন্য আবার জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ থাকবে? জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, “এটা পুরোপুরি নির্ভর করবে সাকিবের ফর্ম এবং সে তখন ক্রিকেটে থাকবে কি না তার ওপর। আমি কখনোই খেলাধুলার মধ্যে রাজনীতি আনতে চাইনি এবং এতে বিশ্বাসও করি না। যে যোগ্য, সে অবশ্যই দলে সুযোগ পাবে।”
দেশের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ছাত্র ও সাধারণ মানুষের অভ্যুত্থানের সময় তার নীরব ভূমিকা এবং আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
পরবর্তীতে তিনি পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে সফরকালীন ম্যাচে খেললেও দেশের মাটিতে আর জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামেননি ৩৮ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার। এদিকে, জুলাই মাসে গার্মেন্টস কর্মী রুবেল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের হয়। এছাড়াও, তার নাম এসেছে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সাকিব আল হাসানের বিভিন্ন দেশে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তোলা কয়েকটি স্থিরচিত্র সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিশেষ করে জুলাই মাসের গণহত্যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে তার সাক্ষাতের বিষয়টি নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।

