যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের পর, দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার নতুন করে তোপের মুখে পড়েছেন।
এক লেবার এমপি দ্য গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, টিউলিপকে মন্ত্রী বানানোর সিদ্ধান্ত ছিল আত্মঘাতী গোল। সবাই জানত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। যাদের অনেক ক্ষমতা ও অর্থ আছে। তাকে এই দায়িত্ব দিয়ে এতসব কিছু করার বিষয়টি কী ভালো ছিল?
এদিকে, লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় টিউলিপ সিদ্দিকের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার মূল্য ১ লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা)। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-এর ৩ জানুয়ারির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৪ সালে আবদুল মোতালিফ নামের একজন ডেভেলপার টিউলিপকে এই ফ্ল্যাটটি উপহার দিয়েছিলেন।
মোতালিফ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। এই ফ্ল্যাটের খবর সামনে আসার পর, টিউলিপ নতুন করে চাপের মুখে পড়েন। এরপর তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও উঠতে থাকে। এসব ঘটনায় তার মন্ত্রিত্ব নড়বড়ে হয়ে পড়ে, এবং শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগে তাকে পদত্যাগ করতে হয়।
গত বছর লেবার পার্টির নির্বাচনী জয়লাভের পর, কেয়ার স্টারমার প্রধানমন্ত্রী হন এবং তিনি নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন। সেখানে টিউলিপ সিদ্দিককে সিটি মিনিস্টারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার কাজ ছিল দেশের আর্থিক বিষয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা। তবে, দুর্নীতির অভিযোগেই তাকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছে। টিউলিপ কেয়ার স্টারমারের কাছের বন্ধু হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
টিউলিপ সিদ্দিক ৪২ বছর বয়সী এবং লেবার পার্টির সদস্য হন মাত্র ১৬ বছর বয়সে। ২০১৫ সালে পূর্ব লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড আসন থেকে প্রথমবার প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হন, এরপর সেই আসনে চারবার প্রার্থী হয়ে প্রতিবারই জয়ী হন।