যে কারণে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুতি নিতে বললেন সাংবাদিক ইলিয়াস

বিশিষ্ট সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন তার সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার (২০ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন, যা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা।

ইলিয়াস তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে, যা দেশজুড়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীকে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন.. সেনাবাহিনী প্রস্তুতি নেন, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার যে কোন তৎপ’রতা রু’খে দিতে হবে। আমরা ১৮ কোটি যো’দ্ধা প্রস্তুত ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে তাদের প্রস্তুতি নেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।”

ইলিয়াসের এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। অনেকেই এটিকে একটি সময়োপযোগী পরামর্শ হিসেবে দেখছেন, অন্যদিকে কেউ কেউ এটি নিয়ে সমালোচনা করছেন।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিরোধী দলগুলোর বিক্ষোভ, সরকারের কঠোর অবস্থান, এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে অসন্তোষ দেশের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে ইলিয়াসের মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা, রয়েছেন তিন সমন্বয়ক

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক এবং একজন সহ-সমন্বয়ক। এর আগে, চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রথম প্রকাশ্যে আসে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) চবি ক্যাম্পাসের শাহী মসজিদের বিপরীতে অবস্থিত মামুন স্মৃতি পাঠাগারে এক মতবিনিময় সভায় ১৭ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) সঙ্গে অনুষ্ঠিত এই সভায় নতুন কমিটির নাম প্রকাশ করে শিবির নেতারা।

নতুন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের নাহিদুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মুহাম্মাদ ইব্রাহীম। এছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পেয়েছেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

কমিটির মধ্যে বিশেষভাবে আলোচিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী ওবায়দুল্লাহ (অর্থ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক), মুজাহিদুল ইসলাম (শিক্ষা সম্পাদক), এবং ইসহাক ভূঁইয়া (ছাত্র আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক) রয়েছেন। পাশাপাশি সহ-সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্বে আছেন মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদ।

শিবির নেতারা জানান, চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে আমান বাজার পর্যন্ত স্কুল-কলেজের নেতৃত্ব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা থেকেই দেওয়া হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের তদারকির জন্য কমিটিতে দুজনকে যুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিবিরের সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ ইব্রাহীম বলেন, “সমন্বয়ক পদে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পর তাদের পুনরায় সংগঠনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি আমরা নিজেদের সদস্যদের সেখানে অন্তর্ভুক্ত করব না।”

শিবির নেতাদের দাবি, চবির সাতটি হলের মধ্যে মাস্টারদা সূর্যসেন হল ছাড়া বাকি সব হলে তাদের কমিটি সক্রিয় রয়েছে। নতুন এই কমিটির মেয়াদ চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে বলে জানান তারা।