ছাত্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। সরকারের পতনের সাথে সারা দেশে উল্লাস এবং কিছু সহিংস ঘটনা ঘটে। এরপর ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলা হয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মের অনুসারী হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হচ্ছে।
কিন্তু পরে সত্যতা যাচাই করে জানা যায় যে এগুলোর প্রায় সবই গুজব। এরপর বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতার খবর এখনও ভারতের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রচার হচ্ছে। এই ঘটনার জেরে এবার বাংলাদেশকে হুমকি দিয়েছে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টেস্ট সিরিজের পর,টেস্ট সিরিজ শেষে ৬ অক্টোবর ভারতের গোয়ালিয়রে টি-টোয়েন্টি সিরিজ মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে। কিন্তু প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি নিয়ে শঙ্কার খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নাল।
ভারতের একটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা গোয়ালিয়রে অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে। হিন্দু মহাসভার সহ-সভাপতি ডক্টর জয়বীর ভরদ্বাজ সাংবাদিকদের বলেছেন যে তারা এই ম্যাচটি বাতিল করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। এছাড়া ম্যাচ বাতিল না হলে হামলার হুমকিও দিয়েছে এই রাজনৈতিক দল।
এ প্রসঙ্গে জয়বীর ভরদ্বাজ বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের গণহত্যা করা হচ্ছে… মন্দির ধ্বংস করা হচ্ছে। তারপরও প্রধানমন্ত্রী মোদি এখানেই ম্যাচটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই গোয়ালিয়রে ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট ম্যাচের বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নেয় হিন্দু মহাসভা। শান্তি বজায় রাখতে ম্যাচটি বাতিল করতে হবে, অন্যথায় দেশে অশান্তি সৃষ্টি হবে।
এদিকে পূব সূচি অনুসারে এই ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায়। তবে বাংলাদেশের সিরিজ চলাকালীন ভেন্যু সংস্কারের কাজ চলবে সেই স্টেডিয়ামে। এ কারণেই ম্যাচটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে গোয়ালিয়রে। এবার সেই ম্যাচকে ঘিরেই শঙ্কা তৈরি হয়েছে।