নিরাপদ সড়কের দাবিতে ২০১৮ সালে রাজধানীর শাহবাগে আন্দোলন চলাকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারবিরোধী পোস্ট করার দায়ে গ্রেফতার হন জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ।
সে সময় নওশাবার গ্রেপ্তার ও তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বেশ চর্চিত ছিল। একজন উঠতি তারকার ক্যারিয়ারে ভাটা পড়ে, অতোটুকু অন্তত সবাই নিজ চোখেই দেখেছেন।
কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবন, সামাজিক জীবন, এমনকি মানসিক-শারীরিক অবস্থার কী হয়েছে তা কেউ জানে না। কারণ এ নিয়ে দু’টি কথাও বলেননি এই অভিনেত্রী।
নওশাবা জেল থেকে ফিরে চেষ্টা করেছেন নিজেকে আবারও মেলে ধরতে। কিন্তু ২০১৮ সালে তার হৃদয়ে যে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছিল সে সম্পর্কে কাউকে বলতে না পেরে তিনি ভিতরে একটি ভারী বোঝা বহন করে বছরের পর বছর কাটিয়েছেন।
কিন্তু এখন দিন বদলেছে। যে ক্ষমতা তাকে এমন দুর্বিষহ পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছিলো সেই ক্ষমতারই বদল হয়েছে। তাই হয়তো না বলা কথাগুলো বলার সাহস করতে পেরেছেন নওশাবা।
তানভীর তারেকের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি। প্রচারের অপেক্ষায় থাকা অনুষ্ঠানটির একটি ছবি পোস্ট করে তানভীর তারেক লিখেছেন, ‘অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদই প্রথম শিল্পী যিনি ২০১৮ সালে ক্ষমতাসীন দলের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। তারপর তাকে ২১ দিন আয়নায় নির্যাতন করা হয়েছিল! অতঃপর রিহ্যাবে ৬ মাস। নিজের মেয়েকেই চিনতে পারতো না! সেই সময় থেকে একমাত্র কন্যাকে নিয়ে গত ৬ বছরে ২০ বারের ওপরে বাসা বদলেছে। কেউ বাসা ভাড়া দিতে চায়নি, সংসার ভেঙেছে! নিজের বাড়িতে জায়গা হয়নি, কারণ ভাই ও আত্মীয়রা নিরাপদ মনে করেনি। বন্ধুর নামে বাসা ভাড়া নিয়ে বোরকা পরে ঢুকতেন! কোনো আপোষ করেন নি। অনেক রকম অফার এসেছে! মামলা করেছেন আগেই, যা এখনও চলমান। গল্পগুলো আসছে।’