যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, সব আরোহী নিহত

রাশিয়ার রাজধানীর কাছে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। সুখোই সুপারজেট ১০০ বিমানটি বনাঞ্চল এলাকায় তিনজন ক্রু নিয়ে বিধ্বস্ত হয় বলে জানিয়েছে দেশটির জরুরি মন্ত্রণালয়।। তারা সবাই পাইলট ছিলেন। তাদের কেউই জীবিত নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিমানটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য যাত্রা করে।

জানা যায়, রাশিয়ার তৈরি সুপারজেট ১০০ নামের এই বিমানটি ৮৭ থেকে ৯৮ জন যাত্রী বহন করতে পারে। তবে দুর্ঘটনার সময় বিমানটিতে কোনো সাধারণ যাত্রী ছিল না।

দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, বিমানটি মেরামত করার পরই পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। তবে উড্ডয়নের পর এক ঘণ্টার কিছু সময় পর গভীর জঙ্গলে বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে। ওই সময় বিমানটি মস্কোর ভুকোভো বিমাবন্দরের দিকে যাচ্ছিল।

তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়া বিভিন্ন অঞ্চলে স্ব-তৈরি সুখোই সুপারজেট বিমান মোতায়েন করেছে। মূলত, ২০২২ সালে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পরে, মস্কো তার নিজস্ব বিমান ব্যবহার করার জন্য প্রবলভাবে ঝুঁকছে।

রাশিয়ান জরুরী মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয়েছে যে বিমান দুর্ঘটনায় স্থানীয় কোন মানুষ আহত বা নিহত হয়নি।

এরই মধ্যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিমান দুর্ঘটনার ভিডিও ও ছবি প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে।

এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।


মায়ের ওপর পূর্বের ক্ষোভ ছিল, সুযোগ বুঝেই মিটিয়ে নিলো ছেলে

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় আর্থিক সংকট ও পারিবারিক কলহের জেরে মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক ছেলে। শুক্রবার (১২ জুলাই) রাতে জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুথিকা বালা (৫০) জেলার নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠি ইউনিয়নের উত্তর জয়পুর গ্রামের নারায়ণ বালার স্ত্রী।

পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠি ইউনিয়ন উত্তর জয়পুর এলাকায় যুথিকা বালা নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। পরে বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত করে নিহতের বড় ছেলে যতীশ বালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জতিশ পুলিশের কাছে স্বীকার করে যে সে তার মাকে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যা করেছে। অভিযুক্ত যতীশ পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে যে, বিভিন্ন আর্থিক সংকট ও পারিবারিক কলহের কারণে দীর্ঘদিন ধরে সে তার মায়ের উপর রাগান্বিত ছিল। তাই বৃহস্পতিবার রাতে সে পরিকল্পিতভাবে তার মাকে কুপিয়ে হত্যা করে।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম আরও জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হিহতের স্বামী নারায়ণ বালা বাদী হয়ে নাজিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপ্স) মো. মুকিত হাসান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম, নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হালদারসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা।