আলী হাসানের গানের এক লাইন নিয়ে তুমুল বিতর্ক, ১৫ দিনের মধ্যে গানটি সরিয়ে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) ইউটিউব থেকে ‘বর্তমানে কথা চালালি নোট’ গানটি সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৮ জুলাই) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আরিফুর রহমান মুরাদ নামে এক ব্যক্তির করা রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।

গত ঈদে সবচেয়ে আলোচিত গান হয়ে ওঠে ‘নানা নতি’। এটাকে ঈদের একমাত্র ভাইরাল প্রযোজনা বললে ভুল হবে না। কারণ গানটির রচয়িতা ও গায়ক আলী হাসান নানা ও নাতির চরিত্রের মাধ্যমে অনেক না বলা কথা বলেছেন। সহশিল্পী হিসেবে নানা চরিত্রে দেখা গেছে আরেক জনপ্রিয় কবি ও অভিনেতা মারজুক রাসেলকে।

এর আগে গানটির রচয়িতা আলী হাসানকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কারণ তিনি গানের এক লাইনে বলেছেন, ‘বর্তমানের কোর্টে বিচার চলে নোটে’!

এই লাইনের কারণে গানটির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গায়ক আলী হাসানকে আইনি নোটিশ দেন শেরপুর জেলা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট ফাহিম হাসনাইন।

১৯ জুন (বুধবার) রেজিস্ট্রি পোস্টের মাধ্যমে এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে ১৫ দিনের মধ্যে গানে আদালত অবমাননাকারী ‘বর্তমানের কোর্টে বিচার চলে নোটে’ লাইনটি বাদ দেয়াসহ অনলাইনে লাইভে এসে জনসাধারণের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে মামলা করার কথাও বলা হয় ওই নোটিশে।

https://youtu.be/H-etxUXpi0A


বির্তকিত সেই পিয়নের ৩ স্ত্রী কারাগারে

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তিতাস গ্যাসের পিয়ন (অফিস সহকারী) জহিরুল ইসলামের তিন স্ত্রীকে পৃথক মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে প্রায় এক কোটি টাকা জরিমানা করেন আদালত।

রোববার কুমিল্লার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বেগম শামসুন্নাহার এ দণ্ডাদেশ দেন। তবে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন পিয়ন। রায় ঘোষণার সময় তিনি তার তিন স্ত্রীকে নিয়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মোসা. সেলিনা আক্তার, মোসা. আকলিমা আক্তার ও মোসা. আছমা আক্তার।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পিয়ন জহিরুল ইসলাম ও তার তিন স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কুমিল্লা কার্যালয়ে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।

দুদক কুমিল্লা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ফজলুল হক জানান, তিনটি মামলায় জহিরুল ইসলাম ও তার ৩ স্ত্রীকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার রায়ে পয়নের স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১২ লাখ ১২ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা, দ্বিতীয় স্ত্রী আকলিমা আক্তারকে ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩৪ লাখ ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। স্ত্রী আসমা আক্তারকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৩১ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে খালাস পেয়েছেন পিয়ন জহিরুল।

জহিরুল ইসলাম ঢাকায় তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে এমএলএসএস (অফিস সহকারী) হিসেবে কর্মরত। তিনি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা।