ছাগলের ঘটনায় বহুল আলোচিত সাবেক এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের বান্ধবী আরজিনা খাতুনের সন্ধান পাওয়া গেছে। মতিউর অধীনস্থ রাজস্ব বোর্ডের মূসাক মনিটরিং, পরিসংখ্যান ও সমন্বয়ের দ্বিতীয় সচিব আরজিনা খাতুন বন্ধুর সহযোগিতায় গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়।
সম্প্রতি তাদের মধ্যে একটি ফোনালাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। হৃদয়স্পর্শী এই অডিও রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর শুরু হয় তোলপাড়। ছোট ছোট বাক্যে আবেগধর্মী ও স্পর্শকাতর ওই কথোপকথন পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
মতিউর রহমান : ‘তোমার কাছে … চাই, কখন দিতে পারবা?
আরজিনা খাতুন: আজকে…!
মতিউর রহমান: আজকের প্রোগ্রাম ঠিক আছে?
আরজিনা খাতুন: আজকে… কালকে যাই। আজ শুক্রবার তো, মানে কি বলে বের হবো, কোনো ইয়ে পাচ্ছি না। বাসায় আছে তো। কালকে হলে ভালো হয়। কালকে তো থাকবা ঢাকায়।
মতিউর রহমান: দীর্ঘশ্বাস… ঠিক আছে। কালকে মনে হয় পারব না।
আরজিনা খাতুন: কষ্ট পেলে… মানে শুক্রবার তো, কোনো ইয়ে খুঁজে পাচ্ছি না। বাইরে যে থাকব, আবার মাইন্ড… মানে যদি কোনো সন্দেহ তৈরি হয়।
মতিউর রহমান: ফের দীর্ঘশ্বাস… ওকে।
জানা যায়, মতিউর রহমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার পর তার সম্পত্তি দ্রুত বাড়তে থাকে। আরজিনা খাতুনের রাজধানীতে একটি ফ্ল্যাট, গ্রামে একটি বিলাসবহুল বাড়ি, পরিবারের সদস্যদের নামে জমি, বিলাসবহুল ইন্টেরিয়র ও দামি আসবাবপত্র রয়েছে। মাত্র তিন বছরে আরজিনা খাতুন ৫০০ ভরি স্বর্ণালংকারের মালিক হয়েছেন। এরমধ্যে ২০০ ভরিই চোরাচালানের মাধ্যমে আনা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এসেছে।
অন্যদিকে, আরগিনা খাতুন গত ৫ বছরে নগদ টাকায় অন্তত ৫ শতাধিক স্বর্ণ ও হীরার গয়না কিনেছেন। এর মধ্যে ২০০ ভরি এক সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীর মাধ্যমে ৩ ধাপে চোরাচালানের মাধ্যমে আনার প্রমাণ দুদকে জমা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, তিনি ২০২২ সাল থেকে শেয়ার ব্যবসাও করেছেন। একদিনে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে দ্বিগুণ লাভের উদাহরণও রয়েছে তার। মতিউরের সঙ্গে একই ব্রোকারেজ হাউসে শেয়ার ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিলেন আরজিনা। মতিউরাই কারসাজি করে শেয়ারবাজারে আরজিনাকে মুনাফা দেন। এছাড়াও তার তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল নগদ অর্থ রয়েছে এবং সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ রয়েছে।