লোন নিয়ে সেই অর্থ যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে ব্যক্তি ও ব্যবসার জন্য বেশ কিছু উপকারিতা বহন করে। অনেকে জীবন যাত্রাই পাল্টে দিয়েছে লোনের অর্থ । আবার অনেকের জীবন করেছে দূর্ভিসহ। তবে আজা আমরা এর খারাপ দিক গুলো নয় ভালোদিকগুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
ব্যক্তিগত ও ব্যাবসায়ীক ক্ষেত্রে লোনের উপকারিতা:
১। আর্থিক লক্ষ্য অর্জন:
লোন আপনাকে দ্রুত বড় আর্থিক লক্ষ্য অর্জন করতে সাহায্য করতে পারে, যেমন বাড়ি কেনা, গাড়ি কেনা, বা শিক্ষার খরচ বহন করা।
২। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সহায়তা: চাকরি হারানো, অসুস্থতা, বা অন্যান্য অপ্রত্যাশিত ঘটনার ক্ষেত্রে লোন আপনাকে আর্থিকভাবে স্থিতিশীল থাকতে সাহায্য করতে পারে।
৩। নতুন ব্যবসা শুরু করা:
ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন যোগান দিতে লোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
৪। ব্যবসা প্রসারিত করা:
ব্যবসা প্রসারের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন যোগান দিতে লোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
৫। নতুন সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি কেনা:
ব্যবসার দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য নতুন সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি কেনার জন্য লোন নেওয়া যেতে পারে।
৬। গবেষণা ও উন্নয়ন:
নতুন পণ্য ও পরিষেবা উন্নয়নের জন্য গবেষণা ও উন্নয়নে লোন ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে, লোন গ্রহণের পূর্বে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি শুধুমাত্র প্রয়োজনেই লোন নিন। অপ্রয়োজনীয় খরচের জন্য লোন নেওয়া এড়িয়ে চলুন। এছাড়া আপনার ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা যাচাই এবং বিবেচনা করেই লোন গ্রহন করুন। নিশ্চিত করুন যে আপনার নেওয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধ করার জন্য পর্যাপ্ত আয় আছে। এছাড়া লোন নেওয়ার পূর্বে বিভিন্ন ঋণ প্রদানকারীর প্রতিষ্ঠানের সুদের হার ও শর্তাবলী তুলনা করে যে প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ সুভিধা প্রদান করে সেখানেই আবেদন করুণ।
ঋণ গ্রহণের পূর্বে সমস্ত নথিপত্র সাবধানে পড়ুন এবং সকল শর্তাবলী বুঝে তারপর পদক্ষেপ নিন। দীর্ঘমেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে সুদের পরিমাণ অনেক বেশি হতে পারে, তাই সাবধানে সিদ্ধান্ত নিন।
সর্বশেষে এটাই বলা যায় লোন, একটি শক্তিশালী হাতিয়ার যা ব্যক্তি ও ব্যবসার জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারে। যদি আপনি লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন এবং আপনার ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা যাচাই এবং বিবেচনা করে সঠিক সিন্ধান্ত নিতে পারেন।