পদ্মা সেতু বাংলাদেশের স্বপ্নের স্থাপনা। নানা বাঁধা-বিপত্তি অতিক্রম করে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মান হচ্ছে এই সেতু। ইতিমধ্যে সেতুটির ৮৮.৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতু নির্মানের কাজের অগ্রগতি এবং কবে নাগাদ জনগনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজস্ব অর্থায়নে দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত প্রকল্পের ভৌত কাজ ৮৮.৭৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে স্বপ্নের এই সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়। বুধবার (১৭ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ভায়াডাক্টসহ ৯.৮৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। এই সেতু নির্মিত হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত ও সহজ হবে। এটি এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে, যা প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে সাবওয়ে (আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো) নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে। অক্টোবর পর্যন্ত সমীক্ষা প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। সম্ভাব্যতা সমীক্ষার মাধ্যমে এলাইনমেন্ট চূড়ান্ত করে যথাসময়ে সাবওয়ে বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে।’ কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৭৪.৩৩ শতাংশ বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
এই সেতু নির্মান নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই দেশ জুড়ে। তেব সকল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে সেতু নির্মানের কাজ। এই সেতু নির্মানের পাশাপাশি দেশে আরও বেহস কিছু বড় প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।