বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রতিবেশী দুই দেশ। সম্প্রতি দেশটির জাতীয় ক্রিকেট দল ২টি টেস্ট ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে এসেছে। তবে এসেই বির্তকে জড়িয়ে পড়েছে দলটি। মূলত তারা প্যাকটিস ম্যাচে নিজ দেশের পতাক উত্তোলন করে এমন বির্তকের মুখে পড়েছে। তবে এই বিষয়ে ব্যখ্যা দিল দেশটি।
দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশে এসেছে পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল। ঢাকায় এসে সফরকারীরা প্রথমবারের মতো অনুশীলনে নামে সোমবার। মিরপুরে পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল অনুশীলন করে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে। এনিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় চারদিকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিনভর আলোচনা চলল এ নিয়ে। পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিতর্ক চলতে থাকে। তবে দেশটি যখন পাকিস্তান এবং সামনে বাংলাদেশের বিজয়ের মাস, আলোচনার মাত্রা ছাড়াল বহুগুণ। অবশেষে এই বির্তকের অবসান ঘটাতে এর ব্যাখ্যা দিলেন পাকিস্তানর দলের মিডিয়া ম্যানেজার ইব্রাহিম বাদিস।ইব্রাহিম বাদিস বলেন, ‘হেড কোচ সাকলায়েন মুশতাক ক্রিকেটারদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে এই কৌশল চালু করেন। তিনি জাতীয় দলে যোগ দিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের প্রস্তুতিতে এটি প্রথম চালু করেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আমরা তা অনুসরণ করেছি।’
বিশ্বকাপে আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সূচি ছিল পাকিস্তানের। নিরাপত্তা শঙ্কায় এই সিরিজ পাকিস্তানে গিয়েই সিরিজ স্থগিত করে দেশে ফিরে যায় কিউইরা। এই সিরিজেই পাকিস্তান জাতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্ব নেন সাকলায়েন মুশতাক। তিনি দায়িত্ব নিয়ে ক্রিকেটারদের মধ্যে দেশপ্রেম ছড়িয়ে দিতে অনুশীলনে জাতীয় পতাকা রাখেন। ইব্রাহিম আরও বলেন, ‘এর আগে সাকলায়েন মুশতাক যখন অনূর্ধ্ব-১৬ আর অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্বে ছিলেন একই কাজ করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া ন্যাশনাল হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের ক্যাম্পেও এমনটা করতে দেখা গেছে সাকলাইনকে। এবার জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েও তিনি এটি অব্যাহত রেখেছেন।’
বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম করলেও পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের তেমন সুসম্পর্ক গড়ে উঠেনি। তবে সম্প্রতি সময় পাকিস্তানের সরকার ইমরান খান বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং যৌথ ভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এবং এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে বিশেষ অনুরোধও জানিয়েছেন।