বিশ্বব্যাপী চলমান পরিস্থিতির সংক্রমণ কমে যাওয়ার জন্য দেশের প্রায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলছে এবং নেওয়া শুরু হয়েছে পরীক্ষাও। কিন্তু ভিন্নতা দেখা গেল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ক্ষেত্রে। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রামের এই অন্যতম সরকারি মেডিকেল কলেজটি গত ১৮ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। মেডিকলেজ কলেজটি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করা হয়।
অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় কলেজটির এমবিবিএস (ব্যাচেলর অব মেডিসিন) ও বিডিএস (ব্যাচেলর অব সার্জারি) কোর্সে অধ্যয়নরত প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২০০ বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের উভয় পক্ষ পরস্পরকে দায়ী করে তিনটি মা’মলা করেছে। এতে মোট আ’সা’/মি ৩৯ জন। অভিযুক্ত ৩৯ জনের কারণে কলেজের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থীর ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকা নিয়ে ক্ষো’/ভ জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ড. আল-আমিন ইসলাম শিমুল যিনি গেল অক্টোবর মাসে এমবিবিএস পাস করে বেরিয়েছেন তিনি বলেন, “আসছে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে যে পেশাগত পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে সেটা অনিশ্চয়তায় পড়েছে। এদিকে যেহেতু কলেজ বন্ধ তাই অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা সিলেবাস সমাপ্ত করতে সক্ষম হবে না।” এতে করে আমাদের এই মেডিকেল কলেজের সকল শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।’