শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন আসমা আক্তার। নির্বাচনে পরাজয়ের পর তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তুলে অঝোরে কাঁদলেন। গতকাল শনিবার সকাল আটটার দিকে তার বাড়িতে সাংবাদিকরা হাজির হলে, সেখানে তিনি অভিযোগ তোলার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের পরে যখন আওয়ামী লীগ এর বি’দ্রো/হী প্রার্থী জয়ী হওয়ার ঘোষনা দেওয়া হয়, এরপর তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা হা’/ম’লা, ভা’/ঙচু’র এবং মা’/রধ’/র করে। এমন ধরনের অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে আসমা আক্তার বলেন, বিগত ১১ নভেম্বর আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বি/দ্রো’হী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদার (আনারস) ও তার সমর্থকরা অ’/’স্ত্রে’র মহড়া দিয়ে ভোট কারচুপি করেছে। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর নৌকার সমর্থকদের ঘরে ঘরে গিয়ে মা’/রধ’/রসহ ঘর, দোকান বন্ধ করে দেয় আনারস সমর্থকরা। অ’/’স্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দিয়ে জ’/ঙ্গি’বা’/দ শুরু করেছে এবং আমার লোকদের কাছে চাঁদা দাবি করছে তারা। কিন্তু পু’/লি’শ কাউকে আটক করছে না।
পু’/লি’শের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আনারসের লোকেদের শ’টগা’/ন হাতে নিয়ে মহড়া দেয়ার ভিডিও ভা’ইরাল হয়। এ ব্যাপারে থা’/নায় মা’মলা করতে গেলে, পু’/লি’শ মা’মলা নেয়নি। নির্বাচনের দিন আনোয়ারের লোকজন অ’/’স্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে আমাদের লোকজনকে ভ’/য়ভী’/তি দেখায়। বেলা ১১টার পর পু’/লি’শ নৌকার ব্যাচ পরা কাউকে দেখলেই কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। এই নির্বাচন আমি মানি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সহযোগিতা চাই।
এই ঘটনার পর ওই ইউনিয়ন পরিষদের আনারস প্রতীকের নবনির্বাচিত প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, আসমা আক্তার একজন বিএনপি পরিবারের সদস্য। তিনি সুবিধা পাবেন এই চিন্তা করে নৌকার প্রার্থী হয়েছিলেন। এর কারণে এই এলাকার সাধারণ ভোটার যারা, তারা নৌকার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তিনি হেরে যাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করে মিথ্যা অভিযোগ করে যাচ্ছেন। আপনারা খোজ নিয়ে দেখতে পারেন তিনি যে সকল অভিযোগ তুলেছেন সেগুলোর কোনো ধরনের সত্যতা নেই।