বি-টাউনের তুমুল জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী প্রযোজক ছিলেন যশ চোপড়া। তার নির্মিত প্রায় প্রতিটি সিনেমাই ভক্তদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আর সেই সঙ্গে ক্যারিয়ারে অর্জন করেছেন একাধিক নামিদামি পুরস্কারও। ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর ৮০ বছর বয়সে পরলোক গমন করেন গুণী এই কিংবদন্তি। তবে চিরবিদায়ের আগে পর্যন্ত তিনিই ছিলেন প্রযোজনা সংস্থা যশরাজ ফিল্মস-এর একচ্ছত্র অধিপতি। এই সংস্থার ব্যানারে কত যে ব্যবসাসফল সিনেমা তৈরি হয়েছে, তার ইয়াত্তা নেই। যশ চোপড়ার মৃত্যুর পর যশরাজ ফিল্মস-এর হাল ধরেছেন বড় ছেলে আদিত্য চোপড়া।
এই আদিত্যর স্ত্রী হলেন বিখ্যাত অভিনেত্রী রানি মুখার্জী। অর্থাৎ, যশ চোপড়া নায়িকার শ্বশুর। তিনিই কিনা একসময় রানির মা-বাবাকে নিজের অফিসে আটকে রাখার হুমকি দিয়েছিলেন। সে বহু বছর আগের ঘটনা। তখন অবশ্য যশ চোপড়ার ছেলের বউ হননি রানি। যদিও মজা করেই এমনটা করেছিলেন যশ চোপড়া। সেই ঘটনা নতুন করে ভাইরাল।
২০০২ সালে যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে ‘মুঝসে দোস্তি কারোগে’ ছবিতে কাজ করেছিলেন রানি মুখার্জী। এরপর প্রায় আট মাস কোনো কাজ করেননি তিনি। সব ছবির প্রস্তাবই ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর টিনা। তার মা-বাবা পর্যন্ত মেয়ের এই কাণ্ড দেখে হতবাক হয়েছিলেন। রানির কথায়, ‘কিছুই করছিলাম না বাড়ি বসে। তবুও কোনো ছবিতে কাজ করতে ইচ্ছে করছিল না।’
ঠিক সেই সময়ে ২০০২ সালেই যশ চোপড়ার কাছ থেকে ‘সাথিয়া’ ছবির প্রস্তাব আসে। এরপর রানি তার মা-বাবাকে পাঠান যশের অফিসে। তারা গিয়ে জানান যে, রানি এই ছবি করতে রাজি নয়। এই বার্তা পেয়ে তৎক্ষণাৎ মা-বাবাকে অফিসে বসিয়ে রেখেই রানিকে ফোন দেন যশ। বলেন, ‘সোনা, এই ছবিটি তোমার জন্য লেখা। তুমি যতক্ষণ না রাজি হবে, তোমার বাবা-মাকে আমি ঘরে বন্ধ করে রাখব।’
পরবর্তীতে একটি সাক্ষাৎকারে এই গল্প করার সময় রানি বলেন, ‘আমি আজও যশ চোপড়া স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাকে ওভাবে হুমকি না দিলে ‘সাথিয়া’র মতো একটি ছবিতে অভিনয় করতে পারতাম না।’
ছোট থাকতেই অভিনয় শুরু করেন রানী মুখার্জী। তিনি প্রথম অভিনয় করেন ১৯৯৬ সালে ‘বিয়ের ফুল’ সিনেমায়। তবে পরবর্তীতে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিনয়ে নিয়মিত হন এই অভিনেত্রী। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে-বীর-জারা, তালাস: দ্য অ্যান্সার লাইস উইদিন, যুবা, ব্ল্যাক, ইত্যাদি।