তলব করার পর দেশটির সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গতকাল (বুধবার) আদালতে হাজিরা দেওয়ার মাধ্যমে তিনি সেখানকার আ’র্মি পাবলিক স্কুলে (এপিএস) যে হা’/ম’লা হয়েছে সেটা অগ্রগতির বিষয়ে রূপরেখা তুলে ধরেন।
গতকাল বিকেলের দিকে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ ও ফুয়াদ চৌধুরী যিনি তথ্যমন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন তাদের সঙ্গে পাক-প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আদালতে হাজির হন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্ব দানের মাধ্যমে তিনজনের সমন্বয়ে গঠিত বিচারপতির বেঞ্চে এই বিষয়টি নিয়ে শুনানি সম্পন্ন করেন। এদিকে দেশটির যিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি এই বিষয়ে শুনানির জন্য বিশেষ ব্যাবস্থার মাধ্যমে পাক-প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এবং তার সামনে এপিএস মামলার যে অগ্রগতি চলামন রয়েছে সেটার বিষয়ে অবগত করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পরে অগ্রগতি প্রতিবেদনের আদেশ দিয়ে চার সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি করা হয়।
কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন, আমি আইনের শা’সনে বিশ্বাস করি জানিয়ে ইমরান খান আদালতকে বলেন, ২০১৪ সালের ওই হ’/’ত্যাকাণ্ডের পর একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা চালু করা হয়েছিল। পাকিস্তানে আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নেই। আমরা স’/’ন্ত্রা’সের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছি।
উল্লেখ্য, উ’গ্রবা/দী গ্রুপ তেহরিক-ই-তা’/লেবা’নের (টিটিপি) সদস্যরা ২০১৪ সালে পেশোয়ারের সে’/’নাবা’/হি’/নীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠার এপিএস-ওয়ারসাক স্কুলে হা’/ম’লা চালিয়েছিল। ভ’/য়াব’/হ সেই প্রা’ণঘা’/’তি হা’ম’/লায় ১৩২টি শি’/’শুসহ ১৪৭ জন প্রয়াত হয়।
পাকিস্তান সরকার সাম্প্রতিক সময়ে একটি “সমঝোতা প্রক্রিয়া” চালু করার জন্য টিটিপির সাথে আলোচনা করছে। বর্তমান সরকার TTP-এর সাথে সম্পূর্ণরূপে অ’/’স্ত্র-বির’তির ঘোষণা করার পর পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট গতকাল (বুধবার) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তলব করে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আদালতে হাজিরা দেওয়ার মাধ্যমে মামলাটির অগ্রগতির বিষয়ে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতিকে। হাজিরা দেওয়ার পর তিনি দুপুরের দিকে আদালত ত্যাগ করেন।