গত ১৪ আগস্ট থেকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। চিকিৎসকের পরামর্শে এরই মধ্যে তাকে থাইল্যান্ড ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতির মধ্যেই শুক্রবার (৫ নভেম্বর) রাতে হঠাৎই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে রওশন এরশাদের মৃত্যুর গুজব।
যদিও বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবার কিংবা দলের পক্ষ থেকে এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।
জাতীয় পার্টির মহাসচিবের প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বলেন, বাংলাদেশ থেকে উনি এয়ার অ্যাম্বেুলেন্সে এখনও থাইল্যান্ড পৌঁছাতে পারেননি। এরমধ্যেই কে বা কারা জানলো, আমি জানি না। বিষয়টা আমরাও নিশ্চিত নই। অনেকেই আমাকে ফোন দিচ্ছেন। তবে তেমন কিছু হলে আমরা আপনাদের জানাব।
অপরদিকে জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের বিষয়টি স্বীকার করলেও তিনি দলের প্রেস উইংয়ের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ করেন।
এর আগে তার ছেলে ও রংপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য রাহগিব মাহি সাদ এরশাদ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নেওয়া হচ্ছে রওশন এরশাদকে। শুক্রবার বিকেল ৫টায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হবে তাকে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তিনি রওনা হন বলে জানান বিরোধীদলীয় নেতার একান্ত সহকারী মামুন হাসান।
গত মাস দুইয়েরও অধিক সময় ধরে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন রওশন এরশাদ। বার্ধক্যজনিত কারনে এর আগেও বেশ কয়েকবার চিকৎসকের শরনাপন্ন হতে হয়েছে তাকে। এদিকে এর আগে তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চান জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের।