কেউ আ’সামি হয়ে হা’জতবাস করলে তার মোট সাজা ভোগের সময় হতে ঐ হাজতবাসে থাকার সময়কে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। পরিষ্কারভাবে বললে যেটা আসে সেটা হলো, সা’জার রায় যেদিন ঘোষনা করা হবে তার আগে যতদিন কোনো আ’সামি হাজ’তে থাকে সেই দিনগুলো তার মোট সা’জা হতে বাদ দেওয়া হবে। সাম্প্রতিক সময়ে এমন অনেক মামলা দেখা গেছে যেগুলোতে কোনো আ’সা/মিকে বছরের পর বছর হা’জতবাস করতে হয়েছে অর্থাৎ বিচার শেষে রায় দেওয়ার আগে অনেক বছর হা’জতবাস করতে হচ্ছে।
আজ (সোমবার) অর্থাৎ ১ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ মতামত দেন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
আদেশের পর রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ বলেন, ইউনুছ আলী নামে এক আ’সামিকে নিম্ন আদালতের দেয়া মৃ’/’ত্যুদ’/ণ্ডের সা’জা হাইকোর্ট কমিয়ে যাবজ্জীবন দেন। এরপর ইউনুছ আলীর আইনজীবী আপিল বিভাগকে জানান, এরই মধ্যে ইউনুছ ২৬ বছর সা’জা ভোগ করেছেন। প্রচলিত সিআরপিসির ৩৫ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, বিচারকালীন আ’সামি যত দিন হাজতবাস করবে, হাজ’তবাসকালীন এই সময় মূল সা’জা থেকে বাদ যাবে। তবে ইউনুছ আলীর রায়ে ৩৫ (ক) ধা’রার ক্ষেত্রে তা উল্লেখ করা ছিল না। পরবর্তী সময়ে উচ্চ আদালতে আতাউর রহমান মৃধার রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ৩৫ (ক) ধারার সুযোগটা আ’সা/মিরা পাবেন।
এ বিষয়ে আপিল বিভাগ আজ বলেছেন, হাজতবাস কা’রাদণ্ড ভোগের সময় থেকে বাদ যাবে। আদালত আ’সামি ইউনুছ আলী হা’জতকালীন ও কারাদণ্ড ভোগের সময় যোগ করে যদি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ শেষ হয়ে যায়, তাহলে তাকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
এই ধরনের বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, অনেক মা’মলায় একজন লঘুদন্ড প্রাপ্ত আসামিকে কয়েক বছর পর্যন্ত হা’জতে রেখে দেওয়া হয় মা’মলার তদন্ত কার্য সম্পন্ন করতে। রায় দেওয়ার পর দেখা যায় কোনো আসামির একবছর কা’রাদন্ড দেওয়া হয়েছে কিন্তু তাকে কয়েক বছর হাজতবাস করতে হয়েছে। এটা কোনোভাবে কাম্য হতে পারে না। এখানে বিচারবিভাগের বিচার কার্যগতি শিথিলতার কারনে অনেক সময়ও এটা হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন।