আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এরই মধ্যে নিজ নিজ এলাকার পাশাপাশি অন্যান্য এলাকায় গিয়েও নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে মানুষের দোয়ায় সিক্ত হচ্ছেন তারা। তবে এদিকে আবার এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদ্রুপ মন্তব্য করছেন কেউ কেউ। আর এরই জের ধরে এবার এমনই একটি ঘটনা ঘটলো শরীয়তপুরে।
সংসদ সদস্য সম্পর্কে মন্তব্য করে শরীয়তপুর সদরের রিটার্নিং অফিসার বলেন, ‘এমপি স্যার বলেছেন চিতলীয়া ইউনিয়নে কোনো নির্বাচন হবে না, সবাই সিলেক্টেড’!
ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে।
সংবাদ মাধ্যমের হাতে একটি ভিডিও এসেছে যেখানে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যায়, এমপির সাথে সিদ্ধান্ত হয়েছে, চিতলীয়া ইউনিয়নে কোনো নির্বাচন হবে না, সবাই সিলেক্টেড। নির্বাচন করতে না পারলে আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন মেম্বার প্রার্থীদের কেউ কেউ। ইউনিয়নটিতে চেয়ারম্যান পদেও একক প্রার্থী রয়েছে।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী ফুলমালা বেগমের প্রতীক বরাদ্দ নিতে গিয়ে রীতিমতো হতভম্ব স্বামী লিটন সর্দার। তার স্ত্রী নাকি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন, তাই মেলেনি নির্বাচনী প্রতীক।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দ নিতে গিয়ে এমন অভিজ্ঞতা চিতলীয়া ইউপি নির্বাচনে অনেক মেম্বার প্রার্থীর। অভিযোগ তাদের অজান্তেই প্রত্যাহার হয়েছে মনোনয়নপত্র। স্বাক্ষর জাল করে ঘটানো হয়েছে এমন কাণ্ড।
চিতলীয়া ইউপি নির্বাচনে ৯টি মেম্বার পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন ৪৮ জন প্রার্থী। ৯ জন বাদে প্রত্যাহার হয়েছে সবার মনোনয়নপত্র। একই চিত্র সংরক্ষিত নারী সদস্য পদেও। সবকটি পদেই একক প্রার্থী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিতলীয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে কিছুর করার নেই তার। আর ভিডিওটি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার তো এ রকম বলার কথা না। যদি বলে থাকি, তবে কোন প্রেক্ষিতে বলেছি মনে পড়ছে না।
এদিকে এ ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিতে মুঠো ফোনের মাধ্যমকে শরীয়তপুর-১ এর সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর সঙ্গে যোগোযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এটি তার কাজ নয়। এমনকি এ ব্যাপারে কারো সঙ্গে তার কোনো কথাও হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি।