বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ বর্তমান সময়ে উন্নয়নের রোল মডেল। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ অর্জন করেছে ব্যপক সফলতা এবং সম্মানা। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্ব পালন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশের উন্নয়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আজ ‘‘বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২১’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমদানি-রফতানি প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা জানালেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের রপ্তানি পণ্যের সংখ্য আরও বাড়ানো প্রয়োজন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের চাহিদা থাকে; আর বাংলাদেশ এমন একটা দেশ.. আমরা ইচ্ছা করলে পারি। সব কিছুই করতে পারি। এই আত্মবিশ্বাস আমার আছে, যেটা জাতির পিতা বলে গেছেন। তিনি বলেন, নতুন নতুন পণ্য আরও কী আমরা উৎপাদন করতে পারি এবং আমরা রপ্তানি করতে পারি সেটাও গবেষণা করে বের করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, কোন কোন দেশে কী কী পণ্যের চাহিদা রয়েছে সেটা অনুধাবন করে সেই পণ্য আমরা বাংলাদেশে উৎপাদন করতে পারি কি না সেটা আমাদেরকে বিবেচনা করতে হবে। মঙ্গলবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘‘বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২১’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সাতদিন ব্যাপী এ সম্মেলনে দেশের সম্ভাবনাময় নয়টি খাতকে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের সামনে অগ্রাধিকার দিয়ে তুলে ধরার সিদ্ধান্তকে ‘অত্যন্ত সময়োপযোগী’ হিসেবে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। খাতগুলো হলো- অবকাঠামো, তথ্য প্রযুক্তি, ফিনটেক (আর্থিক প্রযুক্তি), চামড়া, ওষুধ, স্বয়ংক্রিয় ও ক্ষুদ্র প্রকৌশল, কৃষিপণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পাট-বস্ত্র শিল্প, অতিচাহিদাসম্পন্ন ভোগ্যপণ্য ও ক্ষুদ্র ব্যবসা। শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট’ এর মাধ্যমে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের নতুন দুয়ার উন্মোচন হবে, রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে এবং কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশ সক্ষম হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এই সম্মেলনের মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য দেশি বিদেশি শিল্প উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে এই সব খাতের সম্ভাবনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের অনেক দেশ কাজ করছে। এমনকি অনেক দেশ কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শুধু তাই ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বেশ কিছু খাতে বিপুল পরিমানের অর্থ বিনিয়োগ করেছে বিশ্বের কয়েকটি দেশ। বাংলাদেশও নিজেদের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।