বর্তমান সময়ে দেশে বেকারের সংখ্যা কত সেটা কোনো চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের সামনে নিয়োগ পরীক্ষার দিনে বোঝা যায়। আর এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিপুল পরিমান অর্থ হা’তিয়ে নিচ্ছে এক শ্রেনীর ভূ’য়া চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান। তারা চাকরি দেওয়ার নাম করে চাকরী প্রার্থীদের নিকট হতে টাকা দাবি করে। শেষ পর্যন্ত তারা চাকরি না দিয়ে ঐ টাকা নিয়ে স’টকে পড়েন। তেমনই একটি ঘটনায় এবার চাকরিপ্রার্থীদের বুদ্ধিতে রাজধানীতে একটি সংগঠিত জা’লি/য়াতি চক্র ধ’রা পড়েছে। ঐ প্রার্থীরা মিরপুরের পল্লবীতে ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ নম্বরে কল করে এই প্র’/তা’রকদের ধ’রিয়ে দেন। শনিবার বিকেলে মিরপুর ১২ নম্বর ডিওএইচএস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পু’/লি’/শ এবং ভু’ক্তভো/গী সূত্রে জানা গেছে, এই চ’ক্রটি’আনোয়ার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড লজিস্টিকস সার্ভিসেস লিমিটেড’ নামে একটি অফিস খোলে ডিওএইচএস অ্যাভিনিউ ২-এর ১২ নম্বর রোডের ৮৮৯ নম্বর বাড়িতে।
বেকার তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের প্রলো’ভনে ফে’সবুকে জেলা ও গ্রামভিত্তিক চটকদার বিজ্ঞাপন দিত চ’ক্রটি। চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হা’তিয়ে নিলেও বেকারদের চাকরি দিতে পারতেন না তারা। এই চক্রটি বেকার যুবকদের আকৃষ্ট করতে অনেক সময় সুন্দরী নারীদের টোপ হিসেবেও ব্যবহার করত।
শনিবার চ’ক্রটির ফাঁ’দে পড়ে তাদের অফিসে এসে অবরু’দ্ধ হয়ে পড়েন ১৭ চাকরিপ্রত্যাশী। পরে তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে সাহায্য চান। খবর পেয়ে পু’/লি’/শ এসে তাদের উদ্ধার করে এবং চক্রের পাঁচ সদস্যকে আ’/ট’ক করে। আ’ট/কদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৮০টি চাকরির আবেদন ফরম ও নিয়োগের ৫০টি খালি ফরম জ’ব্দ করা হয়। এ ঘটনায় রাতে আব্দুর রহিম খান নামে এক ভু’ক্তভো/গী পল্লবী থা’/নায় একটি মা’ম/লা করেন। মা’ম/লার আসামিরা হলেন— মনিরুল ইসলাম, জীবন আহম্মদ, জান্নাত ইসলাম সাথী, জাহেদুল ইসলাম ও ছাব্বির আহমেদ।
সজিব খান যিনি পল্লবী থা’/নার এসআই হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি বলেন, এই চ’ক্রটি বিভিন্ন গ্রাম ও জেলা পর্যায়ে নিয়োগের কথা বলে অনলাইনে চাকরির বিজ্ঞাপন দিত। চাকরিপ্রার্থী হয়ে যারা চাকরির জন্য ঐ অফিসে আসতেন তারা প্র’/তা’রিত হতেন। আমরা সেখানে যাওয়ার পর ১৭ জনকে পেয়েছি যারা তাদের প্র’/তা’রনার শি’/কা’র হয়েছেন। তিনি যোগ করে বলেন, প্রার্থীরা এখানে আসার পর চাকরির জন্য দেওয়া ফরম পূরণ করতে বলা হলে সেটা করে। সুযোগ বুঝে ঐ চক্রটি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে নেয় এবং পরে যোগ দেওয়ার দিন জানিয়ে দেওয়ার কথা বলে। চক্র টাকা নেওয়ার পর আর কাউকে চাকরি দেয় না।