ভাইরাসের প্রকোপে দেশে দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠন। তবে সম্প্রতি ১২ই সেপ্টম্বর নানা নির্দেশনার মধ্যে দিয়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে। এবং শিক্ষামন্ত্রী এসএসসি এবং এইচএসি বোর্ড পরীক্ষার নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে সময় বলেছেন। তবে এসএসসির সিলেবাস সংক্ষিপ্ত প্রসঙ্গে বেশ আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। তার ওপরে পাঠদান শেষে নেওয়া হবে পরীক্ষা। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসকে আরও সংক্ষিপ্ত করার দাবি করেছে। তবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, এই সিলেবাস আর সংক্ষিপ্ত করার কোনো সুযোগ নেই। বুধবার (৬ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে চক্ষু চিকিৎসা ও ডায়াবেটিস পরীক্ষার অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর ও আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। সেই সিলেবাস শেষ করে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাস আরও সংক্ষিপ্তকরণের জন্য কেউ আন্দোলন করলে সেটিকে আমলে নেওয়া হবে না। তার চাইতে ক্লাসে পাঠদানের প্রতি মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রকাশিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপিও দুর্নীতি প্রতিবেদন সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে দীপু মনি বলেন, টিআইবির প্রতিবেদন আমরা দেখেছি। এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছি আমরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। সেখানে এ বিষয়ে তুলে ধরা হবে। এর আগে চক্ষু চিকিৎসা ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পত্রিকা খুললেই শুধু নেগেটিভ নিউজ চোখে পড়ে। এতে মানুষের আত্মবিশ্বাস কমে যায়। সে কারণে নেগেটিভ নিউজের পাশাপাশি পজিটিভ নিউজকে গুরুত্ব দিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে। মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠে পজিটিভ নিউজ পড়লে তার দিনটি ভালো কাটবে। ভালো একটি কাজ করার উৎসাহ তৈরি হবে।
দীর্ঘ দিন ধরে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষাখাত নানা ধরনের ক্ষতির কবলে পড়েছে। এমনকি শিক্ষার্থীরা পড়েছে নানা ধরনের দুশ্চিন্তায়। তবে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার শিক্ষাখাতের সকল সংকট মোকাবিলায় নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। এরই লক্ষ্যে কাজ করার জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিদের প্রতিও বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন সরকার।