রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের পাশাপাশি মাথার সামনের বেশকিছু অংশের চুল কেটে দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি সারা-দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। বিশেষ করে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছ থেকে এমন আচরণ কখনো আশা করা যায় কিনা, তা রীতিমতো ভাবাচ্ছে অনেককে।
আর এরই ঘটনার জের ধরে শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে অবরোধ ও আন্দোলন করে আসছিল উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তিন দিন অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল ভিসিসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে। অবশেষে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শিথিল করেছে।
শনিবার (২ অক্টোবর) দুপুর ১২ টার দিকে আন্দোলন শিথিলের এই সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সকাল ৯ টার দিকে শিক্ষার্থীরা মুঠোফোনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। এতে শিক্ষামন্ত্রী তাদের আন্দোলন বন্ধ করার আহবান জানিয়ে তার ওপরে আস্থা রাখতে বলেন।
অর্থনীতি বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী এ.কে.এম নাজমুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ.কে.এম নাজমুল হাসান বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে ও তদন্ত কমিটির ওপরে আস্থা রেখে আপাতত সকল প্রকার অবরোধ ও আন্দোলন শিথিল করছি। তবে অফিস চলাকালীন সময়ে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো। যদি আমাদের দাবি না মানা হয় সেক্ষেত্রে আমরা আবার আন্দোলনে যাবো।
রবীন্দ্র অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও তদন্ত কমিটির সভাপতি লায়লা ফেরদৌস হিমেল ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রেজারার আব্দুল লতিফ এর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। ফলে এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ওঠা এ অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে তাকে। একই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল প্রকার পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে সম্প্রতি শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিনের এ অনাকাঙ্খিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরাও। বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের কাছে একজন শিক্ষক অভিভাকের মতই। আর সেই শিক্ষকদের কাছ থেকেই যদি এভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়, তাহলে আগামী প্রজন্ম অন্ধকারে ডুবে যাবে।