বর্তমান সময়ে দেশের বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের জের ধরে দেশের পুরানো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের কর্মকান্ড নতুন করে প্রকাশ্যে উঠে এসেছে। এদেরই মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ডেসটিনি ও যুবক। এই দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতারনার শিকার হয়ে দেশের অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি অনেকেই রয়েছে যারা এই প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রতারনার শিকার হয়ে সর্বস্ব হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে। তবে সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন এই সকল প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকেরা অন্তত ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ টাকা ফেরত পেতে পারেন।
ডেসটিনি ও যুবকের প্রতারিত গ্রাহকেরা অন্তত ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ টাকা ফেরত পেতে পারেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। রবিবার বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন আয়োজিত প্রতিযোগিতা আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য দেন সংস্থাটির তিন সদস্য জি এম সালেহ উদ্দিন, এ এফ এম মনজুর কাদির ও নাসরিন বেগম এবং আইন পরামর্শক মাফরুহা মারফি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডেসটিনি ও যুবকের অনেক সম্পদ রয়েছে। সম্পদগুলোর দামও বেড়েছে অনেক। ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করলেও যে টাকা পাওয়া যাবে তা দিয়ে গ্রাহকদের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ টাকা ফেরত দেওয়া যাবে।
তিনি এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে কথা বলেছেন উল্লেখ করে বলেন, ‘আইনমন্ত্রী আমাকে বললেন এটা আদালতের বিষয়। কাউকে (কোনো সংস্থা) দিয়ে সংযুক্ত করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যেতে পারে। আইন মন্ত্রণালয় এটা নিয়ে কাজ করছে।’ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রাহকদের অন্তত সাত হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে ডেসটিনি ও যুবকের মালিকপক্ষ। ই-কমার্স খাত নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খাতটি এগিয়ে যাচ্ছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের জন্য অন্তত ৩০ হাজার প্রতিষ্ঠানকে আমরা বিপদে ফেলতে পারি না।’ দুই বছর আগে এক লাখ টাকায় অনলাইনে কোরবানির গরুর ক্রয় আদেশ দিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন বলে গল্প করেন টিপু মুনশি। বলেন, ‘গরু কিনতে টাকা দিলাম এক লাখ। কিন্তু পরে শুনলাম এটা অন্যের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘ভাবলাম, আমার সঙ্গেই এমন হচ্ছে! পরে আরেকটা গরু দেখাল যার দাম ৮৭ হাজার টাকা। বাকি টাকায় একটা খাসিও দিল।’ তবে এমন অবস্থা এখন আর নেই বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
এদিকে দেশে অনলাইনে বিভিন্ন পন্য কেঁনা-বেচার প্রবনতা ব্যপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই সূত্র ধরে দেশে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যারা কিনা বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করে লোভনীয় অফার প্রদান করে গ্রাহকদের ঠকাচ্ছে। এবং হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমানের অর্থ। এই সকল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর হয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এমনকি এই সকল প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রনে ইতিমধ্যে বেশ কিছু নীতিমালাও প্রনয়ন করেছে সরকার।