লিজা আক্তার( Liza Akhter ) প্রিয়া একজন ১২ বছর বয়সী গৃহকর্মী। বসুন্ধরা আবাসিক( Bashundhara Residential ) এলাকার ভাটারা( Bhatara )য় এক বাসায় সে গৃহকর্মীর কাজ করতো৷ পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনদিন ধরে বাথরুমে আটকা ছিলো সে। এ অবস্হায় তিনদিন ধরে স্রেফ বাথরুমের পানি খেয়ে জীবনধারণ করতে বাধ্য হয় সে৷ এরপর গত( Past ) শনিবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে উদ্ধার করে।
জানা যায়, শনিবার রাতে( Saturday night ) প্রতিবেশীদের ট্রিপল নাইনে (999) ফোন পেয়ে পুলিশ( police ) তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে( Dhaka Medical College Hospital ) নিয়ে যান।
শিশুটির নাম লিজা আক্তার( Liza Akhter ) প্রিয়া (১২) তার বাবার নাম রতন, গ্রামের বাড়ি ভৈরব হলেও, ছোট বেলা থেকেই ময়মনসিংহ রহমতপুরে( Mymensingh Rahmatpur ) নানি হালিমার( Nani Halimar ) কাছে থাকতো।
শিশুটি তার ওপর চলানো অমানবিক নির্যাতন কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছে, শিশুটি কমলা বেগম( Kamala Begum ) নামে দুঃসম্পর্কের আত্মীয়ের মাধ্যমে ভাটারা( Bhatara ) থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক( Bashundhara Residential ) এলাকায় একটি বাসায় ২ মাস যাবত সাড়ে তিন হাজার টাকা বেতনে কাজে করতো। ঐ বাসার গৃহকর্তার নাম এজাজ ও কর্তির নাম তান্নি এর বেশি কিছু বলতে পারছিল না।
সে জানায়, ঘুম থেকে দেরিতে উঠা, ঠিক মতো কাজ করতে না পারাসহ বিভিন্ন অজুহাতে তাকে বেধড়ক মারধর করতো গৃহকর্তী তান্নি। শুধু মারধরই নয়, গরম পানি ঢেলে দিতো গায়ে, গরম ক্ষন্তি দিয়ে শরীরে ছেকা দিতো। যা না দেখলে বুঝার উপায় নাই। তার সমস্ত শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত নতুন পুরাতন চিন্হ শরীর জুড়ে।
শিশুটি জানিয়েছে, তাকে গত( Past ) তিন দিন বাথরুমের ভিতর আটকে রাখা হয়েছিল, কোন খাবারও খেতে দিতো না, টেপের পানি খেয়ে ছিল ঐ শিশু গৃহকর্মী।
ঢামেকে আনার পর জরুরী বিভাগের চিকিৎসকরা তা দেখে তাকে বার্ণে রেফার করেন।
শিশুটি বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক( Hasina National Burn Plastic ) সার্জারি ইনিস্টিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক( Hasina National Burn Plastic ) সার্জারি ইনিস্টিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ পার্থ শঙ্কর পাল( Dr. Perth Shankar Pal ) জানিয়েছেন, লিজার( Lizard ) শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট বার্ণ রয়েছে। যা ছেকা দেয়ার মতো। এ ছাড়াও শরীরে মারধরের অনেক জখম রয়েছে। আমাদের এখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ভাটারা( Bhatara ) থানার এসআই হাসান মাসুদ( Hasan Masood ) বলেন, বাথরুমে আটকে রাখা ও নির্যাতনের সংবাদ ঐ ভবনের পাশের ভবন থেকে দেখতে পেয়ে ট্রিপল (৯৯৯) সংবাদ দেয়। পরে ভাটারা( Bhatara ) থানার পুলিশ( police ) ঐ শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী-স্ত্রী এজাজ ও তান্নিকে( Tanni ) আটক রাখা হয়েছে। মামলা হলে পরে গ্রেফতার দেখানো হবে।
শিশুদের প্রতিই যেকোনো নির্যাতনই সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায়৷ আর এখানে তার সাথে যা হয়েছে তার কোনো ক্ষমা প্রাপ্য নয় সেই দম্পতির৷ শিশুটিকে নির্যাতনের সাথে সম্পৃক্ত প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে, এমনটাই প্রত্যাশা।