প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী, রমজানের আগে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনার জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে আওয়ামী লীগ আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা। তবে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন এমন প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর দিয়েছেন।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজশাহী আঞ্চলিক জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভার আগে তিনি আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এই মুহূর্তে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই। তাদের বিচার চলছে। বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। দেখা যাক বিচারে কী হয়।’
২১ জুন বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন,নিষিদ্ধ নয়, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে, যার মধ্যে নির্বাচনও অন্তর্ভুক্ত। দলটি নির্বাচনে থাকবে কি না, সেটি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। এটা সম্পূর্ণ তাদের এখতিয়ার।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার বিদ্রোহে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে চলে যান। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক মন্ত্রী-এমপি এবং দলীয় নেতা-কর্মী দেশ ছেড়ে চলে যান। অনেকেই এখনও আত্মগোপনে আছেন। অনেকেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে কর্মসূচি পালন করে চলেছেন। তবে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সরকার দলের কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করে।


