মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা, ২ মাসের খাবার মজুদের নির্দেশ, যুদ্ধ কি আসন্ন?

এজাদ জম্মু ও কাশ্মীর (এজেকে) কর্তৃপক্ষ ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে বাসিন্দাদের খাদ্য মজুত করার নির্দেশ দিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষের সম্ভাবনাকে সামনে রেখে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের এই নির্দেশ মেনে চলতে জোরালোভাবে বলা হয়েছে।

গত মাসে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে এক সন্ত্রাসী হামলার পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশ একের পর এক কূটনৈতিক প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এর ফলে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষদের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা আরও বাড়ছে। এমন খবর দিয়েছে জিও টিভি নিউজ।

এজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ার-উল-হক শুক্রবার (২ মে) স্থানীয় পরিষদে বলেন, নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) বরাবর ১৩টি আসনে দুই মাসের জন্য খাদ্যসামগ্রী মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, ১৩টি নির্বাচনী এলাকায় খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য সমস্ত মৌলিক প্রয়োজনীয়তা সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর সরকার ১ বিলিয়ন রুপির জরুরি তহবিলও মজুত করেছে।

তিনি আরও বলেন, নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকায় রাস্তা সচল রাখার জন্য সরকারি ও বেসরকারি মালিকানাধীন যন্ত্রপাতিও মোতায়েন করা হয়েছে।

এ ছাড়াও, সামরিক উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার (১ মে) আজাদ কাশ্মীর কর্তৃপক্ষ ১০ দিনের জন্য এক হাজারের বেশি ধর্মীয় বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে।

পহেলগামের হামলা ও পরবর্তীতে তৈরি হওয়া উত্তেজনার কারণে সম্ভাব্য সব পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কাশ্মীর হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিলাওয়াল এমন আহ্বান জানান। বৃহস্পতিবার (১ মে) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সামা টিভি ও জিওটিভি নিউজ এর বরাতে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

তিনি পেহেলগাম হামলার ঘটনায় স্বচ্ছ, ন্যায্য এবং নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন। বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত অভিযোগ করায় সাম্প্রতিক উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সুষ্ঠু তদন্ত করে ঘটনার সুরাহার মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সহযোগিতার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির গুরুত্বের ওপর জোর দেন তিনি।

দুই দেশের মধ্যে বিরোধের বর্তমান ইস্যু পেহেলগাম ঘটনায় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে পরিস্থিতি সহজেই পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করে দেন তিনি। তার মতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সুষ্ঠু তদন্ত না হলে এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

Scroll to Top