চীন ইতিমধ্যেই ‘অপমানজনক’ মার্কিন রপ্তানি শুল্কের বিরুদ্ধে ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছে। এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি আশা করছে যে ভারতও এই যুদ্ধে তাদের পক্ষে যোগ দেবে।
ভারতে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং বুধবার সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ পোস্ট করা এক বার্তায় এই তথ্য দিয়েছেন। বার্তায় ইউ জিং বলেছেন, “চীনের অর্থনীতি ক্রমশ এবং ইতিবাচকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দীর্ঘ দিন ধরে চীনের শিল্পখাতের উৎপাদন পুরোপুরি সর্বাধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক। এছাড়া চীন অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন এবং বহুপাক্ষিকতাবাদেরও দৃঢ় সমর্থক। বৈশ্বিক অর্থনীতির যে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, তার ৩০ শতাংশই আসে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা নির্দেশিত বহুপাক্ষিক বাণিজ্যের মাধ্যমে।”
“চীন ও ভারতের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্কও পরিপূরকতা এবং পারস্পরিক সুবিধার উপর নির্ভর করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অপমানজনক শুল্ক নীতি, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে, বিশেষ করে বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোকে উন্নত হওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে, তার বিরুদ্ধে বিশ্বের দুই বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ চীন এবং ভারত একাট্টা হতে পারে এবং একসঙ্গে যাবতীয় বাধা অতিক্রম করতে পারে।”
২ এপ্রিল হোয়াইট হাউসে এক ঘোষণায় ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কযুক্ত সকল দেশের উপর বর্ধিত রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেন। সেই সময় চীনের উপর ৩৪ শতাংশ এবং ভারতের উপর ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল।
যদিও ভারত শুল্ক আরোপের পর নীরব ছিল, চীন পরের দিন মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক ৩৪ শতাংশে বৃদ্ধি করে প্রতিশোধ নেয়। এতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ট্রাম্প ৮ এপ্রিল চীনের উপর আরোপিত শুল্ক ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করেন। পরের দিন, চীনও মার্কিন পণ্যের উপর আরোপিত শুল্ক ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করে।