ফারাক্কার বিপরীতে হচ্ছে ২৫ কিলোমিটারের ১৭০০ কোটি টাকার স্থায়ী বাঁধ

নদী ভাঙন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলির মধ্যে একটি। বিশেষ করে পদ্মা নদীর বিস্তীর্ণ সীমান্ত এলাকা ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা বর্তমানে যে অংশে দাঁড়িয়ে আছি তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে এই এলাকায় ক্রমাগত ভাঙন চলছে।

অন্যান্য অনেক এলাকায় পাড় বাঁধাই করা হয়েছে, কিন্তু এই অংশটুকু (প্রায় ২৫ কিলোমিটার) এখনও বাকি রয়েছে।এই ২৫ কিলোমিটার পাড় বাঁধার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে ১৭ কিলোমিটার জিও ব্যাগ এবং ৪ কিলোমিটার ব্লক ব্যবহার করে একটি স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এই প্রকল্পটি মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে যে সরকার শীঘ্রই এটি অনুমোদন করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে অবশিষ্ট কাজগুলি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান যা নদী ভাঙন থেকে এলাকাকে রক্ষা করবে।

প্রকল্পটি এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার পর, এটি পরিকল্পনা কমিশনে যাবে এবং সেখান থেকে অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে। এই মুহূর্তে সঠিক সময় বলা সম্ভব নয়, তবে দ্রুত কাজ শুরু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এই প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় প্রায় ১,৭০০ কোটি টাকা, যা একটি বিশাল বিনিয়োগ। তবে, নদী ভাঙন স্থায়ীভাবে রোধ করার জন্য এই ব্যয় অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমরা আশাবাদী যে সরকারের কাছ থেকে এই আর্থিক সংস্থান পাওয়া যাবে।

সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পদ্মা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করা সম্ভব হবে।

Scroll to Top