বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব ও নারী মুখপাত্রের অসামাজিক ভিডিও ভাইরাল

ঝিনাইদহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা শাখার সদস্য সচিব এবং মুখপাত্র এলমা খাতুনের মদ্যপানের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ১ মিনিট ১২ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি মঙ্গলবার রাতে ইয়াসির আরাফাত নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা হয়েছে।

ভিডিওটিতে মুখপাত্র এলমা খাতুনকে একটি ব্যাগ হাতে ঘরে প্রবেশ করতে দেখা যাচ্ছে। তারপর, তিনি ব্যাগটি নামিয়ে বিছানায় বসে আছেন। সদস্য সচিব সাইদুর রহমান তার পাশে শুয়ে আছেন। তারপর সাইদুর তার শরীরে একটি কম্বল বিছিয়ে দেন এবং মুখপাত্র এলমা খাতুন ফোন টিপতে থাকেন। এরপর একটি মদ ভর্তি বোতল হাতে নেন এলমা খাতুন। আরেকটি হাতে কয়েকটি ওয়ান টাইমের গ্লাস পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সাইদুর রহমান জানান, তিনি ভিডিওটির ব্যাপারে অবগত না। ভিডিওটি দেখে এই প্রতিবেদককে পরে জানাবেন বলে জানান তিনি।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা শাখার আহ্বায়ক আবু হুরাইরাকে ফোন করলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। সুজনের ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সভাপতি আমিনুর রহমান টুকু বলেন, যদি ভিডিও সত্যি হয় তাহলে এদের কাছ থেকে দেশ ও জাতি আগামীতে কিছু পাবে না। এটা সমাজের জন্য ভালো বার্তা বয়ে আনবে না।

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১০৩ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব আরিফ সোহেল এই কমিটি অনুমোদন করেন। তারা আগামী ছয় মাসের জন্য এই কমিটি অনুমোদন করেন। এই কমিটিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু হুরাইরাকে আহ্বায়ক এবং কেসি কলেজের ছাত্র সাইদুর রহমানকে সদস্য সচিব ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও, সাজেদুর রহমানকে প্রধান সংগঠক এবং ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রী এলমা খাতুনকে মুখপাত্র ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে ১৩ জন যুগ্ম আহ্বায়ক, ১৩ জন যুগ্ম সদস্য সচিব, ৯ জন সংগঠক এবং ৬৪ জন সদস্য ছিলেন।