১৩৫ গাড়ির বহর: এবার সারজিসের টাকার উৎস জানতে চেয়ে তাসনিম জারার খোলা চিঠি

সম্প্রতি, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সংগঠক (উত্তর অঞ্চল) সরজিস আলম ঢাকা থেকে বিমানে সৈয়দপুর ভ্রমণ করেন এবং বাকি ১০০ কিলোমিটারের জন্য ১৩৫টি গাড়ির বহর নিয়ে এলাকায় পৌঁছান।

এটি রাজনৈতিক অঙ্গন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই তার আর্থিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

তবে, জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ড. তাসনিম জারা এই বিষয়ে সরজিসের কাছে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) তিনি তার যাচাইকৃত ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্টে সারজিসের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো—

চিঠিতে তাসনিম জারা লেখেন, ‘প্রিয় সারজিস, আমি এই চিঠিটি লিখছি আমাদের দলের একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, দলের নীতিগত অবস্থান ও স্বচ্ছতার প্রশ্ন থেকে। সম্প্রতি তোমার নিজ জেলায় শতাধিক গাড়ির একটি বড় বহর নিয়ে প্রবেশ করায় জনগণের মনে যৌক্তিকভাবেই কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’

‘তুমি কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে বলেছিলে, “আমার আসলে এই মুহূর্তে কোন টাকা নাই। ধার করে চলতেছি। এইটাই হচ্ছে রিয়্যালিটি। আমার পকেটে মানিব্যাগও নেই।” তোমার এই সাদাসিধে জীবনযাত্রার কথা আমাদেরকে অভিভূত করেছিল এবং জনগণের কাছে আমাদের সংগ্রামকে আরও গ্রহণযোগ্য করেছে।’

‘কিন্তু সেই প্রেক্ষাপটে এত বড় একটি আয়োজন কীভাবে সম্ভব হলো— এর অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনা কীভাবে হয়েছে, তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক। আমাদের দল স্বচ্ছতা, সততা ও জবাবদিহির ভিত্তিতে একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সে জায়গা থেকে এসব প্রশ্নের স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য উত্তর দেওয়া আমাদের সবারই দায়িত্ব।’

‘আমি আশা করি, বিষয়টি তুমি আন্তরিকতার সাথে বিবেচনা করবে এবং জনগণের সামনে একটি গ্রহণযোগ্য ও পরিষ্কার ব্যাখ্যা তুলে ধরবে। এতে জনগণের কাছে দলের ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী হবে বলেই আমার বিশ্বাস।’

শেষে তিনি লেখেন, ‘শুভেচ্ছান্তে, জারা আপু।’


বিএনপি একমাত্র দল, বিপদে-আপদে রুখে দাঁড়িয়েছে দেশকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে: ফখরুল

আমাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি একমাত্র দল, যারা প্রতিবার, প্রতিটি বিপদ-আপদে রুখে দাঁড়িয়েছে, তারা সব সময় রক্ষা করেছে বিপদ থেকে। বিএনপি সেই দল, যারা বাংলাদেশকে সব সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু কুতুবের আবির্ভাব ঘটেছে। তাদের কথা, তাদের বাক্য, তাদের বক্তব্য বাংলাদেশকে সম্পূর্ণরূপে অরাজকতার দিকে নিয়ে যেতে চায়, তারা গণতন্ত্রের দিকে নিয়ে যেতে চায় না। নির্বাচনের মধ্য দিয়েই আমাদের গণতন্ত্রে যেতে হবে; সেইটা হচ্ছে ‘এ টু জেড’ ডেমোক্রেসি। এই ডেমোক্রেসি ছাড়া আমরা মনে করি না যে আর কোনো ব্যবস্থা আছে, যা জনগণের কল্যাণ করতে পারে।

‘কিন্তু আজ নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, যেন এ প্রক্রিয়া (নির্বাচন) পিছিয়ে যায়, বিলম্বিত হয়, অন্য কারও সাহায্য করা যায়, দেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করা যায়, সেই কাজগুলো শুরু হয়েছে।’

দলের মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি জনগণের সাথে আছে, অতীতেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। বিএনপি অবশ্যই বিজয়ী হবে।’ তিনি দলের নেতা-কর্মীদের এমন কাজ করার নির্দেশ দেন যাতে জনগণ বিএনপি সম্পর্কে ভালো কথা বলে।

সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে এমন একটি সংকট দেখা দিয়েছে যে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকেও আজ বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা তারা মোটেও মেনে নিতে পারে না। যারা আমাদের দেশকে রক্ষা করে, যারা সংকটের সময়ে আমাদের পাশে দাঁড়ায়, তাদের আমরা কখনই বিতর্কিত হতে দিতে পারি না।’

নির্বাচনের বিকল্প নেই উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘কারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রে যেতে হবে। গণতন্ত্র ছাড়া আর কোনো পদ্ধতি আছে, যাতে জনগণের কল্যাণ হতে পারে? আজ নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, যাতে এই প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়, বিলম্বিত হয়, অন্য কাউকে সাহায্য করা যায়, দেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করা যায়, সেই কাজগুলো শুরু হয়েছে।’