অভিনেত্রী নওশাবাকেও নেয়া হয়েছিলো আয়নাঘরে, নির্যাতন চলে ২১ দিন

নিরাপদ সড়কের দাবিতে ২০১৮ সালে রাজধানীর শাহবাগে আন্দোলন চলাকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারবিরোধী পোস্ট করার দায়ে গ্রেফতার হন জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ।

সে সময় নওশাবার গ্রেপ্তার ও তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বেশ চর্চিত ছিল। একজন উঠতি তারকার ক্যারিয়ারে ভাটা পড়ে, অতোটুকু অন্তত সবাই নিজ চোখেই দেখেছেন।

কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবন, সামাজিক জীবন, এমনকি মানসিক-শারীরিক অবস্থার কী হয়েছে তা কেউ জানে না। কারণ এ নিয়ে দু’টি কথাও বলেননি এই অভিনেত্রী।

নওশাবা জেল থেকে ফিরে চেষ্টা করেছেন নিজেকে আবারও মেলে ধরতে। কিন্তু ২০১৮ সালে তার হৃদয়ে যে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছিল সে সম্পর্কে কাউকে বলতে না পেরে তিনি ভিতরে একটি ভারী বোঝা বহন করে বছরের পর বছর কাটিয়েছেন।

কিন্তু এখন দিন বদলেছে। যে ক্ষমতা তাকে এমন দুর্বিষহ পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছিলো সেই ক্ষমতারই বদল হয়েছে। তাই হয়তো না বলা কথাগুলো বলার সাহস করতে পেরেছেন নওশাবা।

তানভীর তারেকের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি। প্রচারের অপেক্ষায় থাকা অনুষ্ঠানটির একটি ছবি পোস্ট করে তানভীর তারেক লিখেছেন, ‘অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদই প্রথম শিল্পী যিনি ২০১৮ সালে ক্ষমতাসীন দলের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। তারপর তাকে ২১ দিন আয়নায় নির্যাতন করা হয়েছিল! অতঃপর রিহ্যাবে ৬ মাস। নিজের মেয়েকেই চিনতে পারতো না! সেই সময় থেকে একমাত্র কন্যাকে নিয়ে গত ৬ বছরে ২০ বারের ওপরে বাসা বদলেছে। কেউ বাসা ভাড়া দিতে চায়নি, সংসার ভেঙেছে! নিজের বাড়িতে জায়গা হয়নি, কারণ ভাই ও আত্মীয়রা নিরাপদ মনে করেনি। বন্ধুর নামে বাসা ভাড়া নিয়ে বোরকা পরে ঢুকতেন! কোনো আপোষ করেন নি। অনেক রকম অফার এসেছে! মামলা করেছেন আগেই, যা এখনও চলমান। গল্পগুলো আসছে।’


শেখ হাসিনা ইস্যুতে ভারতকে কঠোর বার্তা দিল বিএনপি

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। এরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইস্যুতে ভারতকে সতর্ক করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ায় ভারতের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিএনপি। হিন্দুস্তান টাইমসের খবর।

শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার ভারতের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়। তিনি বলেন, ‘বিএনপি বিশ্বাস করে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক থাকা উচিত। ভারত সরকারকে এটা বুঝতে হবে এবং অনুসরণ করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি আমাদের শত্রুকে সাহায্য করেন, সেই পারস্পরিক সহযোগিতাকে সম্মান করা কঠিন হয়ে পড়ে।’

তিনি আরও বলেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন নির্বাচনের আগে বলেছিলেন- শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় ফেরাতে ভারত সাহায্য করবে। শেখ হাসিনার দায়ভার ভারত বহন করছে। ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ভারত কি একটি দলকে সমর্থন করবে, পুরো দেশকে নয়?’ ওই নেতার এমন মন্তব্য বিএনপিকে ভারতবিরোধী বলেই মনে করছে বিশিষ্ট মহল। এদিকে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর বলেন, ‘বিএনপি হিন্দুবিরোধী বলে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে। বিএনপি বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকদের নিয়ে গঠিত এবং সব ধর্মের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। আমি নিজেও এই দলের শাসনকালে একজন মন্ত্রী হয়েছি এবং বর্তমানে বিএনপির সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কমিটিতে স্থান পেয়েছি। বিএনপি সব সম্প্রদায়ের ব্যক্তি অধিকারে বিশ্বাস করে।’