আন্দোলনকারীদের হাত থেকে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেল রাফসান দ্য ছোটভাই (ভিডিও সহ)

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে টিএসসি থেকে পালিয়েছেন জনপ্রিয় কনটেন্ট নির্মাতা ‘রাফসান দ্য ছোটভাই’। তিনি বর্তমানে বেশ সমালোচিত তার কর্মকাণ্ডে। এমনটা আরেকবার দেখা গেল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে।

গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে রাফসান দ্য ছোটভাই তার নিজের গাড়িতে করে টিএসসিতে এলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাকে ঘিরে ধরে এবং ভুয়া স্লোগান দিতে থাকে।

পরে বাধ্য হয়ে গাড়িতে উঠে স্থান ত্যাগ করেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা তার গাড়িতে হামলার চেষ্টা করলেও কয়েকজন শিক্ষার্থীর সহায়তায় তিনি সেখান থেকে চলে যান।

আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী জানান, সে এতদিন পর অ্যাটেনশন নিতে এসেছে। আমরা তার কাছে কৈফিয়ত চেয়েছি এতদিন পর কি করতে এসেছেন?

শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেল ৩টার পর সংগীতশিল্পী ও সংগীত অনুরাগীরা রবীন্দ্র সরোবরে জড়ো হতে থাকেন। এরপর তারা র‍্যালি করে শহীদ মিনারের উদ্দেশে যাত্রা করেন।

এ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন পার্থ বড়ুয়া, মাকসুদুল হক, মানাম আহমেদ, বাপ্পা মজুমদার, জন কবির, ন্যান্সি, এলিটা করিম, আরমীন মূসা, প্রবর রিপন, জয় শাহরিয়ার, এ কে রাহুল, খৈয়াম শানু সন্ধি, ব্যান্ড মাইলস, জলের গান, শিরোনামহীন, আর্টসেল, ব্ল্যাকসহ অনেকে।


খাদ্য মূল্যস্ফীতির ‘লাল’ শ্রেণিতে বাংলাদেশ

বিশ্বব্যাংকের জানিয়েছে, খাদ্য মূল্যস্ফীতির ‘লাল’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে খাদ্য মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি বিবেচনা করে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে এই ক্যাটাগরিতে রেখেছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ছাড়াও আরও ১৪টি দেশ এই ক্যাটাগরিতে রয়েছে। বিশ্বব্যাংক ১০ থেকে ১২ মাসের খাদ্য মূল্যস্ফীতির পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খাদ্য নিরাপত্তার হালনাগাদ পরিস্থিতি তুলে ধরে তথ্য প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ছয় মাস অন্তর এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দুই বছর ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে রয়েছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।

তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অনেক দেশেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এসব দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বড় অর্থনীতির দেশগুলো উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে সক্ষম হলেও বাংলাদেশ এখনো তা করতে পারেনি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খাদ্য কিনতে বাংলাদেশের মানুষকে তাদের গড় আয়ের অর্ধেক ব্যয় করতে হয়। দরিদ্র মানুষ খাবারের জন্য বেশি খরচ করে। দরিদ্র লোকেরা তাদের আয়ের প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ খরচ করেন খাবার কেনার পেছনে।