কোটাবিরোধী পোস্ট দিয়ে ডিলিট, যা লিখেছিলেন ফারুকী

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন প্রযোজক মোস্তফা সরিয়ার ফারুকী। ওই পোস্টে তিনি আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের সবাইকে স্যালুট জানিয়েছেন। কিন্তু কিছুক্ষন পর তার পোস্ট আর ফেসবুকে দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বিতর্ক এড়াতে তিনি পোস্টটি মুছে দিয়েছেন। পোস্টে ফারুকী কী লিখেছেন?

ফারুকী লিখেছেন, ‘ঢালাও কোটার নামে মেধাহীন রাষ্ট্রব্যবস্থাকে উৎসাহ দেয়া বন্ধ হোক। সমাজের অনগ্রসরদের জন্য ১০ ভাগ কোটা থাকতে পারে। তার জন্য ৫৬ ভাগ?’

আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ফারুকী আরও লেখেন, ‘এই আন্দোলনে যারা আছো, তাদের সবার জন্য লাল সালাম। নিজের সুস্থতার জন্য অনলাইনে খুব বেশি থাকি না। সকল উত্তেজনা থেকে দূরে থাকার চেষ্টায় আছি। কিন্তু এই কথাগুলা না বললে ইতিহাসের কাছে অপরাধী থেকে যাবো। আমার মেয়েরা যখন বড় হবে, বলবে, বাবা যখন এইরকম একটা ব্যবস্থা করা হয়, তখন তোমরা কী করছিলে?’

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। এই কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃহৎ ছাত্র আন্দোলন হয়। সেই আন্দোলনের মুখে ওই বছরের ৮ অক্টোবর সব ধরনের কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ফলে সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বিলুপ্ত হয়।

তবে ২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্রের অংশবিশেষ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধার কিছু সন্তান। ওই রিটের শুনানি শেষে গত ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশকে অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত। ফলে কোটা বহাল রাখা হয়।

এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়। কোটা বাতিলের দাবিতে আবারও রাজপথে নেমেছে তারা। ঈদুল আজহার আগে কয়েকদিন বিক্ষোভের পর দাবি আদায়ে ৩০ জুন পর্যন্ত সরকারকে আল্টিমেটাম দেয় আন্দোলনকারীরা। কিন্তু সরকারের কোনো সাড়া না পেয়ে গত ১ জুলাই থেকে তীব্র আন্দোলন শুরু করেন তারা।


আলী হাসানের গানের এক লাইন নিয়ে তুমুল বিতর্ক, ১৫ দিনের মধ্যে গানটি সরিয়ে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) ইউটিউব থেকে ‘বর্তমানে কথা চালালি নোট’ গানটি সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৮ জুলাই) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আরিফুর রহমান মুরাদ নামে এক ব্যক্তির করা রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।

গত ঈদে সবচেয়ে আলোচিত গান হয়ে ওঠে ‘নানা নতি’। এটাকে ঈদের একমাত্র ভাইরাল প্রযোজনা বললে ভুল হবে না। কারণ গানটির রচয়িতা ও গায়ক আলী হাসান নানা ও নাতির চরিত্রের মাধ্যমে অনেক না বলা কথা বলেছেন। সহশিল্পী হিসেবে নানা চরিত্রে দেখা গেছে আরেক জনপ্রিয় কবি ও অভিনেতা মারজুক রাসেলকে।

এর আগে গানটির রচয়িতা আলী হাসানকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কারণ তিনি গানের এক লাইনে বলেছেন, ‘বর্তমানের কোর্টে বিচার চলে নোটে’!

এই লাইনের কারণে গানটির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গায়ক আলী হাসানকে আইনি নোটিশ দেন শেরপুর জেলা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট ফাহিম হাসনাইন।

১৯ জুন (বুধবার) রেজিস্ট্রি পোস্টের মাধ্যমে এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে ১৫ দিনের মধ্যে গানে আদালত অবমাননাকারী ‘বর্তমানের কোর্টে বিচার চলে নোটে’ লাইনটি বাদ দেয়াসহ অনলাইনে লাইভে এসে জনসাধারণের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে মামলা করার কথাও বলা হয় ওই নোটিশে।

https://youtu.be/H-etxUXpi0A