গোপনে নারীর গোসলের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যের বেহাল দশা

গাইবান্ধায় গোপনে বাথরুমে এক নারীর গোসলের দৃশ্য মোবাইল ফোনে রেকর্ড করার সময় এক পুলিশ সদস্যকে আটক করছে এলাকাবাসী। শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে নগরীর দক্ষিণ ধানগাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃত পুলিশ সদস্যের নাম শাহ আলম। তার বাড়ি লালমনিরহাট জেলার বানভাসা গ্রামে। বর্তমানে তিনি গাইবান্ধা পুলিশ লাইনসে কর্মরত আছেন।

জানা যায়, গাইবান্ধা শহরের দক্ষিণ ধানগাড়া এলাকায় বাড়ির বাথরুমে গোসল করছিলেন এক নারী। সে সময় বাথরুমে মোবাইল ফোন দিয়ে মহিলার গোসলের দৃশ্য রেকর্ড করছিলেন শাহ আলম। নারীর গোসলের ভিডিও করার সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে শাহ আলমকে আটক করে। পরে গাইবান্ধা সদর থানা-পুলিশ খবর পেয়ে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আমি পাশের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। ওই বাড়ির ছাদবিহীন বাথরুমের ওপরে একজন অপরিচিত ব্যক্তি তার মোবাইল ফোনে ভিডিও করছিল, আমি চিৎকার করলে সে পালানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় লোকজনসহ তাকে আটক করা হয়।

মহিলার স্বামী বলেন, ‘আমি কাজে বেরিয়েছিলাম। এসে দেখি ঘর ভর্তি মানুষ। বিস্তারিত শুনে খুব খারাপ লাগছে। একজন রক্ষক এভাবে ভক্ষক হয়ে যায়।

গাইবান্ধা সদর থানার পরিদর্শক মো. সেরাজুল ইসলাম বলেন, “জনতার হাতে আটক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্ত করে দেখব, সে আসলেই পুলিশ কিনা? ভিকটিমদের পরিবার অভিযোগ করলে দোষীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রাইভেট পড়াতে এসে ছাত্রীর মাকে নিয়ে উধাও গৃহশিক্ষক, এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য

লালমনিরহাটে এক ছাত্রীকে প্রাইভেট টিউশনি দিতে গিয়ে ছাত্রের মাকে নিয়ে পালিয়েছে এক যুবক। এ ঘটনায় পলাতক নারীর স্বামী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আলামিন। সে উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মদনপুর সবজি বাজার এলাকার ওসমান আলীর ছেলে।

জানা গেছে, নামুড়ি এলাকার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতেন ওই শিক্ষক আলামিন। একপর্যায়ে ওই শিক্ষক ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই নারীর স্বামী দুই সপ্তাহ আগে শিক্ষক আলামিনকে তার মেয়েকে পড়াতে নিষেধ করেন। পরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই নারীকে নিয়ে পালিয়ে যায় আলামিন।

ওই নারীর স্বামী বলেন, গৃহশিক্ষক আলামিন আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ চারদিন আমাকে সাহায্য করেনি। আমি সন্তানকে নিয়ে চিন্তিত। এলাকাবাসী জানান, এলাকাবাসী জানান, প্রাইভেট পড়াতে এসে যদি ছাত্রীর মাকে নিয়ে শিক্ষক পালিয়ে যায়। আমরা তাহলে কাকে বিশ্বাস করবো? আমরা এর বিচার চাই। এ ব্যাপারে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ এসেছে কি না তা এখনো জানি না। তবে প্রাইভেট শিক্ষক এবং নিখোঁজ গৃহবধূ দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক বলে শুনেছি। তারা স্বেচ্ছায় পালিয়েছে।