বাংলাদেশের বিনোদন জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বিনোদন অঙ্গনের সাথে যুক্ত রয়েছেন। এবং অভিনয় করেছেন অসংখ্য নাটক ও সিনেমায়। তবে সিনেমায় তিনি খল চরিত্রে অভিনয় করে থাকেন। তবে এই চরিত্রে কাজ করেও খুশি তিনি। তার স্বপ্ন ছিল বড় পর্দায় কাজ করা। তিনি নিজেই তার খল চরিত্রে কাজ এবং স্বপ্ন নিয়ে জানালেন বেশ কিছু কথা।
ছোট পর্দায় তিনি ‘মামুর বেটা’ বা ‘তোতা মিয়া’খ্যাত অভিনেতা। ‘সিটি বাস’ নাটকে রাজশাহীর আঞ্চলিক ভাষায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। সেই অভিনেতাকেই এখন আর নাটকে দেখা যায় না। চলচ্চিত্র এবং ওয়েভ সিরিজে এখন তিনি খল অভিনেতা হিসেবেই জনপ্রিয় বেশি। গত এক বছরে ১৫টির মতো সিনেমা ও ওয়েব ফিল্মে খল চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাশেদ মামুন। অভিনয়ের প্রস্তাব যা পাচ্ছেন, শতভাগই খল চরিত্র। ‘নবাব এলএলবি’ সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে প্রথম প্রধান ভিলেন হিসেবে অভিনয় করেন রাশেদ মামুন। সিনেমাটি মুক্তির পরে ‘জানোয়ার’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে আলোচনায় আসেন। রাশেদ মামুন বলেন, ‘গত বছর করোনার মধ্যেও আমি ক্যারিয়ার নিয়ে দোটানায় ছিলাম। একধরনের হতাশার মধ্যে দিন যাচ্ছিল। সেখান থেকে হঠাৎ করেই আমার খল চরিত্রে যাত্রা। খল চরিত্রই আমার জীবন বদলে দিয়েছে। আমি পুরোদস্তুর খল অভিনেতা। কতটা হয়ে উঠতে পেরেছি জানি না। প্রতিনিয়ত খল অভিনেতা হয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। প্রায় প্রতিদিনই যে চিত্রনাট্য পাই—সবই খল চরিত্রের। খল চরিত্রে নির্মাতারা আমার ওপর আস্থা রাখতে পারছেন, এটা আমার জন্য আশীর্বাদ। এখন যেখানেই যাই সবাই বলেন, অভিনেতা থেকে ভিলেন হয়ে গেলেন। এটা আমাকে খল চরিত্রে আরও আগ্রহী করে তোলে।’
রাশেদ মামুন বলেন, ‘বড় পর্দা আমার কাছে স্বপ্ন ছিল। সেটা যে এভাবে পূরণ হবে ভাবিনি। একসময় চলচ্চিত্রের অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। গত দুই বছরের মধ্যে আমার ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে এখন আমি ভিলেন।’ টেলিভিশন দিয়ে আপনার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল। এখন টেলিভিশন নাটকেই আপনাকে দেখা যায় না। ‘সিনেমা এবং ওয়েবে ব্যস্ততার কারণে সময় বের করতে পারি না। ভালো গল্প পেলে চেষ্টা করি শিডিউল দিতে।’ রাশেদ মামুন সম্প্রতি শেষ করেছেন ‘করপোরেট’ সিনেমার শুটিং। শুরুতে এটি ওয়েব সিনেমা হলেও এখন সিনেমা হলের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। সিনেমায় তিনি গডফাদার। আরও শেষ করেছেন ‘নরসুন্দরী’র কাজ। শুরু করতে যাচ্ছেন ওয়েব ফিল্ম ‘নেটওয়ার্ক’ ও সিনেমা ‘জলরঙ’–এর শুটিং। মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘পরান’, ‘দামাল’, ‘অমানুষ’, ‘মিশন এক্সট্রিম’, ‘মুখোশ’সহ ১৩টি সিনেমা। রাশেদ মামুন বলেন, ‘ছোট পর্দায় বঞ্চিত হয়েছি। কাজে কোনো সন্তুষ্টি পাচ্ছিলাম না। টানা আট বছর একঘেয়ে সব চরিত্রে বাধ্য হয়ে অভিনয় করতে করতে ক্লান্ত হয়েছিলাম। এখন নিয়মিত ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করি। এসব চরিত্রে অভিনয়ের একটা জায়গা থাকে, প্রস্তুতি থাকে। দিন শেষে কাজ করে হাসিমুখে ফিরতে পারি।’
ইতিমধ্যে রাশেদ মামুন অপু তার অভিনয় জগতের ক্যারিয়ারে অর্জন করেছেন ব্যপক সফলতা এবং সম্মানান। এমনকি তিনি তার কাজ দিয়ে দর্শক মনে বিশেষ জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমান সময়ে দেশ জুড়ে তার রয়েছে অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী। সম্প্রতি এই জনপ্রিয় অভিনেতা নতুন সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।