দীর্ঘ দিন ধরে শারীরিক ভাবে নানা ধরনের জটিলতায় ভুগছেন বেগম খালেদা জিয়া। তবে সম্প্রতি তার শারীরিক অবস্থার আরও আবনতি হয়েছে। এববং বর্তমান সময়ে তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের সিসিউ কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন কিনা তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা গুঞ্জন চলছে। তবে এই বিষয়ে বেশ কিছু কথা তুলে ধরলেন যুক্তরাজ্যে বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অসুস্থতা বেড়েছে। মায়ের এই পরিস্থিতিতে তার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন কিনা তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন চলছে। তবে তারেক রহমানের শিগগিরই দেশে ফেরার কোনও প্রস্তুতি বা তৎপরতা নেই বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। আর যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, তিনি দ্রুত দেশে ফিরতে পারেন। সূত্র জানায়, তারেক রহমানের হালনাগাদ বাংলাদেশি পাসপোর্ট না থাকায় তাকে লন্ডন থেকে বাংলাদেশে ফিরতে হলে দ্রুত ট্রাভেল ডকুমেন্ট অথবা ব্রিটিশ পাসপোর্টের ক্ষেত্রে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে ‘নো ভিসা রিকোয়ার্ড’ সিলমোহরের জন্য আবেদন করতে হবে। কিন্তু এ ব্যাপারে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে কোনও আবেদন করা হয়নি। লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার আশিকুন নবী চৌধুরী স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় জানান, তারেক রহমানের আবেদন সংক্রান্ত কোনও তথ্য লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে নেই।
যদিও যুক্তরাজ্য বিএনপির শীর্ষ নেতারা গত কয়েক বছর ধরেই বলছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যাপারে শনিবার রাতে কথা হয় লন্ডনে তারেক রহমানের ঘনিষ্টজন ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদের সঙ্গে। তিনি জানান, তারেক রহমান দ্রুতই দেশে ফিরবেন। কিন্তু কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান দেশে ফেরার আগে আপনারা জানতে পারবেন।’ যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক বলেন, ‘তারেক রহমান দ্রুতই দেশে ফিরতে চান। উনার দেশে ফেরার প্রস্তুতি চলছে।’ তবে কী ধরনের প্রস্তুতি চলছে তা জানতে চাইলে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। তারেক রহমান স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে লন্ডনের কিংস্টন এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন। পাশের একটি বাড়িতে থাকেন তার ছোট ভাই মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিথি ও তার দুই কন্যা। কিংস্টন লজ নামে পাশের একটি হোটেল লবিতে নেতাকর্মীদের নিয়মিত সাক্ষাৎ দিতেন তারেক রহমান। যদিও করোনার শুরু থেকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ খুব কমিয়ে দেন তিনি।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার সরকারের কাছে উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগম জিয়া বিদেশের নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে তেমন কোন সুফল মেলেনি। এবং সরকার জানিয়েছে তিনি অন্যান্য আসামীদের তুলনায় বেশি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। এবং এই বিষয়ে তিনি কোন হস্তক্ষেপ করবেন না। এমনকি এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে আদালত।