Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নথি খোয়া: রাজশাহী হতে ঠিকাদার টোটনকে তুলে ঢাকার উদ্দেশ্যে সিআইডি

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নথি খোয়া: রাজশাহী হতে ঠিকাদার টোটনকে তুলে ঢাকার উদ্দেশ্যে সিআইডি

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নথি চুরির ঘটনায় কোন কোন ব্যক্তি জড়িত সেটা খুঁজে বের করতে অনেকটা সক্ষম হয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২ দিন ধরে মন্ত্রণালয়ের ছয়জন কর্মচারীকে সিআইডি তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি। তাদের সূত্রে জানা যায়, গতকাল (সোমবার) রাতের দিকে রাজশাহীতে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী ঠিকাদার নাসিমুল গণি টোটনের বাড়িতে অ’ভিযান পরিচালনার মাধ্যমে তাকে আটক করে গোয়েন্দার একটি দল। পরবর্তীতে রাজশাহীর কেশবপুর নামক এলাকার একটি বাসা হতে টোটেনকে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় সিআইডি।

খবর পাওয়ার পর গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে ছুটে যাওয়ার পর টোটনের বাড়িতে যে সকল কর্মচারীরা রয়েছেন তারা সাংবাদিকদের ছবি তুলতে নিষেধ করে এবং বা’ধাও দেন। জানা গেছে, রাজশাহীসহ সমগ্র দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে থাকেন টোটন।

এদিকে মন্ত্রণালয়ের ছয় কর্মচারীকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে কি না সে সিদ্ধান্ত এখনো নেননি সিআইডি কর্মকর্তারা। ওই ছয়জনসহ ১৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর আঙুলের ছাপ নিয়েছে তদন্ত সংস্থাটি। গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিআইডি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সিআইডির তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা একটি গনমাধ্যমকে জানান, মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেই কয়েকজন ফাইল চু’রির সঙ্গে জড়িত বলে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁদের মুখোশ উন্মোচন করা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন অবশ্য গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, এর সঙ্গে কে বা কারা জড়িত থাকতে পারে তা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ না কেউ এতে জড়িত থাকতে পারে। কারণ বাইরে থেকে কারও পক্ষে ওই কক্ষে প্রবেশ করার সুযোগ নেই।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফাইল থাকা কেবিনেটের ড্রয়ারে কার কার আঙুলের ছাপ রয়েছে, সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য রাসায়নিক পরীক্ষা করছে সিআইডি। নিশ্চিত হয়েই তারা ঘোষণাটি দিতে চায়।

সিআইডির হেফাজতে থাকা ছয় কর্মচারী হলেন জোসেফ সরদার, আয়শা সিদ্দিকা, বাদল, বারী, মিন্টু ও ফয়সাল। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি সচিবালয়ে গিয়ে ৩ নম্বর ভবনের নিচতলার ২৪ নম্বর কক্ষ থেকে আলামত সংগ্রহ করেন সিআইডির সদস্যরা। সংস্থাটির ক্রাইম সিন ইউনিটের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় মন্ত্রণালয়ের অনেকের আঙুলের ছাপ। আট’ক ব্যক্তিদের মধ্যে জোসেফ ও আয়শার কাছে আলমারির চাবি থাকত বলে জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন।

সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ হতে ১৭ টি নথি হারিয়ে যাওয়ার জায়গাটিতে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় ছিল। সিআইডি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারন করা ঐ ফুটেজ সংগ্রহ করার পর অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য পেয়েছে। তবে ফুটেজে কোন কোন ব্যক্তিকে দেখা গেছে সেটা সম্পর্কে কিছুই জানায়নি সিআইডি।

মো. কামরুজ্জামান যিনি সিআইডির বিশেষ পু’লি/শ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বলেন, এ ঘটনায় আমরা একটি তালিকা তৈরী করেছি এবং দায়ের করা সাধারন ডায়েরীর ভিত্তিতে ছায়া তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ হলে এই বিষয়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।

গত ২৮ অক্টোবর শাহবাগ থা’/নায় নাদির হায়দার একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেখানে উল্লেখ করা হয় সচিবালয়ের নিচতলা হতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি কক্ষ হতে ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল খোয়া গেছে।

 

 

 

 

About

Check Also

সংস্কারের নামে ভয়াবহ দুর্নীতি-লুটপাট

সংস্কার ও উন্নয়নের নামে কয়েকগুণ বেশি ব্যয় দেখিয়ে হরিলুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *